কলকাতা: ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট, ১১ জুলাই গণনা। এবারও একদফাতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কাল থেকে মনোনয়ন শুরু, শেষদিন ১৫ জুন। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন। এই ইস্যু তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।


সুকান্ত মজুমদার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণায় বলেছেন, 'আমরা এর নিন্দা করছি, প্রয়োজনে আমরা কোর্টে যাব'। পাশাপাশি 'রাজ্য পুলিশ দিয়ে শান্তিপূ্র্ণ ভোট করা সম্ভব নয়', মন্তব্য শমীকের। প্রসঙ্গত, রাজ্য পুলিশ না কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট? রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন । গত ২০১৮-র ১৪ মে রাজ্যে একদফাতেই হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোট। জেলা পরিষদের ৯২৮টি আসনে ভোট হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির ৯হাজার ৭৩০টি আসনে ভোট হবে। ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩ হাজার ২৮৩টি কেন্দ্রে ভোট। 


অন্যদিকে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ত্রিস্তর নয়, দার্জিলিং, কালিম্পঙে দ্বিস্তরীয় ভোট হবে। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন অনলাইনে পেশ করা যাবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি? রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। আজ থেকেই আদর্শ আচরণবিধি জারি।  ১০ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের গণনার সম্ভাবনা রয়েছে। 'রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা রাখা উচিত' বলেও এদিন মন্তব্য করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নতুন কমিশনার রাজীব সিনহা। 


দুপুরেই একটি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানান ১ মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট করা যায় কিনা এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) সঙ্গে আলোচনা করে রাজ্য সরকার। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গতকালই দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব সিন্হা (Rajib Banerjee)। একাধিক নয়, এক দফাতেই রাজ্যে হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট।  


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


 দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট  ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। গত কাল অর্থাৎ বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিনহা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ম্যারাথন মিটিং হয়। তবে এখন বড় প্রশ্ন, শেষ পর্যন্ত কি রাজ্য পুলিশেই আস্থা? নাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী, কারা এই ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে? তবে অতীতে যত বার এই বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে, কোনও সময়ই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কিছু বলা হয়নি।