দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে (Bhangar) বিডিও অফিসের ভিতরেই আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন ছিনতাই (ISF Candidate Nomination)। বিডিও অফিসেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা। মনোনয়নের শেষ দিনেও যুদ্ধক্ষেত্র ভাঙড় । আজও আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে বাধা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মনোনয়নই জমা দিতে পারলেন না ২ আইএসএফ প্রার্থী।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অব্যহত ভাঙড়ে। মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ছে বোমা বলে অভিযোগ। চলেছে গুলিও। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও বিডিও অফিসের সামনে অবৈধ জমায়েতের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও, তাদের চোখের সামনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে চলল তাণ্ডব (Panchayat Elections 2023) বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর এদিনও গেল না বাদ। অশান্তি অব্যহত ভাঙড়ে। শান্তিপূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা তো দূর, বরং চোখের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতে অন্তত ৩০টি বোমা উড়ে আসে সেখানে। মনোনয়নপর্ব শেষ হয়ে গেলেও বোমাবাজি অব্যাহত থাকে বলে অভিযোগ। কমপক্ষে ১০০টি বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। গুলির চলার ঘটনাও সামনে এল। মনোনয়নপর্বে এই নিয়ে পরপর তিন দিন মনোনয়ন ঘিরে অগ্নিগর্ভ হল ভাঙড়ের পরিস্থিতি।
আজও ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওটে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইএসএফ-এর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত হয়েছিল। শাসকদলের বাধার মুখে পড়ে আইএসএফ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনেই পর পর দু'টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও, র্যাফ নামানো সত্ত্বেও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে থোড়াই কেয়ার আচরণ দেখা যায় বলে অভিযোগ। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ভাঙড় ১ নম্বর ব্লক অফিসে মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরে অবৈধ জমায়েত চোখে পড়ে। লাঠি হাতে মিছিলও করেন শাসকদলের কর্মী এবং সমর্থকরা।
আর এত কিছুর মধ্যেও এ দিন নিধিরাম সর্দারের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেল পুলিশকে। তাদের চোখের সামনেই জামার পিছনে লাঠি গুঁজে মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনে মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে পুলিশ সক্রিয়তা দেখানোর চেষ্টা করলেও, ভিড় হঠানোর চেষ্টা করলেও অকুতোভয় ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
যদিও দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বরং তাঁদের দাবি, বিডিও অফিসের গায়েই সাধারণ মানুষের বসতি। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। ভাঙড়ে এই অশান্তি নিয়ে গতকালই নবান্নে ছুটে যান আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে, পরিস্থিতি তুলে ধরতে চান। অশান্তি চলতে থাকলে, শেষ দিন অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ নৌশাদের সঙ্গে গতকাল দেখা করতে পারেননি মমতা। কিন্তু নৌশাদের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল। বৃহস্পতিবারও তপ্ত থাকল ভাঙড়।