কলকাতা: মনোনয়নের (Nomination) শেষ দিনেও রক্তাক্ত বাংলা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অব্যহত ভাঙড় (Bhngar , South 24 Parganas)। ভাঙড়ে এই অশান্তি নিয়ে পরিস্থিতি তুলে ধরতে গতকালই নবান্নে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে গিয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। অশান্তি চলতে থাকলে, শেষ দিন অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ নৌশাদের সঙ্গে গতকাল দেখা করতে পারেননি মমতা। এদিকে এতকাণ্ডের পর আজ গোটা ঘটনায় আইএসএফকেই (ISF) দায়ি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


ভাঙড়ে (Bhangar) বিডিও অফিসের ভিতরেই আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে এদিন (ISF Candidate Nomination)। বিডিও অফিসেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা। মনোনয়নের শেষ দিনেও যুদ্ধক্ষেত্র ভাঙড় । আজও আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে বাধা, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মনোনয়নই জমা দিতে পারেননি ২ আইএসএফ প্রার্থী। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অব্যহত ভাঙড়ে। মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ছে বোমা বলে অভিযোগ। চলেছে গুলিও। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও বিডিও অফিসের সামনে অবৈধ জমায়েতের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও, তাদের চোখের সামনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে চলল তাণ্ডব (Panchayat Elections 2023) বলে অভিযোগ। 


প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর এদিনও গেল না বাদ। অশান্তি অব্যহত ভাঙড়ে। শান্তিপূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা তো দূর, বরং চোখের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতে অন্তত ৩০টি বোমা উড়ে আসে সেখানে। মনোনয়নপর্ব শেষ হয়ে গেলেও বোমাবাজি অব্যাহত থাকে বলে অভিযোগ। কমপক্ষে ১০০টি বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। গুলির চলার ঘটনাও সামনে এল। মনোনয়নপর্বে এই নিয়ে পরপর তিন দিন মনোনয়ন ঘিরে অগ্নিগর্ভ হল ভাঙড়ের পরিস্থিতি।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আজও ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইএসএফ-এর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত হয়েছিল। শাসকদলের বাধার মুখে পড়ে আইএসএফ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।শুধু তাই নয়, মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনেই পর পর দু'টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও, র‍্যাফ নামানো সত্ত্বেও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে থোড়াই কেয়ার আচরণ দেখা যায় বলে অভিযোগ।