কলকাতা: কোর্টে (Court) পরপর ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি বদলাল ৮২২ কোম্পানিতে। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) জন্য আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন (WB EC)। এদিকে একসঙ্গে এত সংখ্যক বাহিনী (Central Force) দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রের পক্ষে, দাবি জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে মোটেই বিব্রত নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বরং এই ইস্যুর মাঝে যেন বাংলার পুলিশকে স্মার্টনেস শেখাতে না আসে, সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। 


এদিন মমতা বলেন, 'বাংলার পুলিশ অফিসাররা, যে কোনও পুলিশের থেকে ইম্পোট্যান্ট লাইক এনিথিং। এবং আপনারা জানেন একটা সময় কলকাতা পুলিশকে, স্কটল্যান্ড পুলিশের সঙ্গে তুলনা করা হত। সুতরাং আমাদের পুলিশরা যথেষ্ট স্মার্ট।  বাংলার পুলিশকে কেউ যেনও স্মার্টনেস না দেখায়। আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। যত পারে তত দিক। মানুষের থেকে তবু তো সংখ্যাটা বাড়বে না।'   


প্রসঙ্গত, কোর্টে পরপর ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি বদলাল ৮০০ কোম্পানিতে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন । ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি কমিশনের । হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিরামহীন আইনি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। তবে, কোথাও কোনও সুরাহা পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। এরপর গতকালই বাহিনী নিয়ে কমিশনকে কার্যত গাইডলাইন বেঁধে দেয় হাইকোর্ট। বাতিল করে দিল নামমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কমিশনের 'চাল'।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রের। কোনও সরকারই একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দিতে পারবে না। গতবারে ৫ দফায় ভোট হয়েছিল, এবারও একাধিক দফায় ভোট হোক।' পাশাপাশি শুভেন্দু আরও বলেন,' তৃতীয়ত ল্য অ্যান্ড অর্ডারের সিচ্যুয়েশন, ২০১৩ সালে যা ছিল, এখন তা খারাপ পরিস্থিতি। ২০১৩ থেকেও ভাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করার নির্দেশ ছিল।' বিষয় রয়েছে আরও একাধিক। শুভেন্দু আলোকপাত করে আরও বলেন,' ২০১৩ সালে পরে তিন দফা ছিল, পরে প্যারা মিলিটারি দিতে না পারার জন্য, ওটাকে পাঁচ দফায় করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবারে একদফাতে..কোম্পানির সংখ্যাটা ফ্যাক্টর নয়, প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ চাইছে, যেটা সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর দিয়েছে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট।'