কলকাতা:  তৃণমূল ছাড়া নিয়ে শুভেন্দুর বিস্ফোরক দাবির পর এবার ময়দানে পাল্টা রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তা বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, 'উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল, তাও ছেড়ে এসেছি।' যদিও শুভেন্দুর দল ছাড়ার অন্য বিশ্লেষণ করেছেন কুণাল ঘোষ। গ্রেফতারির ভয়েই তিনি দল ছেড়েছিলেন, বলে এদিন স্পষ্ট করেন কুণাল ঘোষ।


শুভেন্দুর দাবি ওড়ালেন কুণাল


এদিন শুভেন্দু বলেন, 'উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল, তাও ছেড়ে এসেছি। তৃণমূল আমার কোনও পদ কাড়েনি। মন্ত্রিত্ব, চেয়ারম্যানশিপ সব ছিল, ছেড়ে এসেছি। ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অফার দিয়েছিল। আমি সব উপেক্ষা করে এসেছি, এগরার সভায় দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও শুভেন্দুর এই তত্ত্ব সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।


'..এসব কাল্পনিক কথা'


কুণাল ঘোষ এদিন বলেন,  'উপমুখ্যমন্ত্রীর অফার, এসব কাল্পনিক কথা। এতদিন বাদে হঠাৎ ওনার মনে হল, ভোটের মুখে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছেন, নন্দীগ্রাম-পূর্ব মেদিনীপুর-সহ সারা বাংলায় হারবেন, এখন উপমুখ্যমন্ত্রীত্বের গল্প শোনাচ্ছেন।' প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু-কুণালের একে অপররের প্রসঙ্গে উষ্ণ বাক্যবিনিময় করতে শোনা গিয়েছে। শুভেন্দু কবে কী কোথায় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন, সেই পুরনো ভিডিও আপলোড করে কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'বার্ণল নিয়ে বসুন..।' ওদিকে পাল্টা তোপ এসেছে শুভেন্দুর তরফেও। তুলোধনা করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।


ময়দানে কুণাল


তবে 'গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে দল বদল..' কিংবা 'কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না?', এনিয়ে একাধিকবার কুণাল ঘোষকে বক্তব্য রাখতে শোনা গিয়েছে। আর পঞ্চায়েত ভোটের একেবারে দোরগড়ায় এদিন দল ছাড়া নিয়ে শুভেন্দুর ক্রিজ পেরিয়ে বড় রান তোলার আগেই বাইশে গজে কুণাল ঘোষ। তাই 'উপমুখ্যমন্ত্রী' নিয়ে প্রসঙ্গ উঠতেই ইয়রর্কার ছুঁড়তে ভোলেননি তিনিও। 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


ভোটের আগে কারা 'অপ্রাসঙ্গিক' ?


প্রসঙ্গত,  ইস্যু আলাদা হলেও পঞ্চায়েত ভোটের আগের কখনও আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে, মদন মিত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কাকতালীয় হলেও এই 'অপ্রাসঙ্গিকতার' তত্ত্ব তুলেই সম্প্রতি মদন মিত্রকেও নিশানা করা হয়েছিল বিরোধীদের তরফেও। আর এবার কি তবে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল সেই মন্তব্যই।