কলকাতা:  অবাধ-ভয়মুক্ত পরিবেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। মূলত মনোনয়ন ঘিরে জেলায় জেলায় অশান্তির অভিযোগ উঠছে। আর এদিন এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রকে পশ্চিমবাংলায় ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।


এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন,'গণতন্ত্রকে পশ্চিমবাংলায় ধ্বংস করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবারে মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন হবে এব্যাপারে আমরা আশাবাদী। সোনামুখীতে দিবাকর ঘরামি তিনবার আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল ন্যাজাটের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসপি ডায়মন্ডহারবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধমক দিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া আটকাতে বলেছেন। হিঙ্গলগঞ্জে রাতে গিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করতে বলেছেন এসপি নিজে। বিজেপি বুঝিয়ে দেবে লড়াই কাকে বলে। নির্বাচন কমিশনের হয়ে কাজ করছে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে। সশস্ত্র পুলিশ কীভাবে দেওয়া হয় আমরা দেখব।'


অপরদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বিজেপির পার্টি অফিসে (BJP Party Office) আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আহত দলীয় কর্মীর ছবি পোস্ট করে তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যপাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ট্যাগ করে ট্যুইট করা হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মোটরবাইকে চড়ে  প্রায় ১০০ জনের গুন্ডা বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা বাধা দিতে এলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ। ট্যুইটে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


পঞ্চায়েত ভোটের  দিন ঘোষণার পর থেকেই সারা রাজ্যে অশান্তির আগুন। জেলা জেলা থেকে প্রতিদিনই আসছে সংঘর্ষের খবর। এরই মাঝে মনোনয়নে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অশান্তি থামছে কই? সোমবাও বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে এল সংঘর্ষের খবর। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীতলায় কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল।   তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আত্মীয়ের বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর। কংগ্রেস প্রার্থী জামান মণ্ডলকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর কাকা, হাত ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।