দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১৬দিনেই ১০জনের মৃত্যু। কোর্টের ধাক্কায় সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাঙড়ে এল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। মনোনয়ন-সন্ত্রাসে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিজয়গঞ্জ-সহ ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকা, মৃত্যু হয় ৩ জনের। ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে সিআইডি। এখনও ভাঙড়ে দগদগে সন্ত্রাসের ক্ষত, পড়ে রয়েছে পোড়া গাড়ি। আর এবার ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার আরও এক আইএসএফ কর্মী। কিন্তু আইএসএফ কর্মী খুনে এখনও কেউ গ্রেফতার হল না কেন ? উঠেছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন পর্বে দুষকৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল ভাঙড় ১ নম্বর বিডিও অফিস চত্বর। সেখানেই ভোটের আগে ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক অঞ্চলের ৭টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল নিল তৃণমূল। ক্যানিং-এও একাংশে ধরা পড়েছে এই ছবি। সন্ত্রাস করে বিরোধী শূন্য় করার অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি থেকে সিপিএম।
মনোনয়ন-পর্বে ভাঙড়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ছবি ধরা পড়লেও লাস্ট ল্যাপে অনেকটাই পিছিয়ে বিরোধীরা। নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাম, আইএসএফ প্রার্থীদের একাধিক মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
অপরদিকে, মনোনয়ন পর্ব শেষ হলেও অশান্তি অব্যহত জেলায় জেলায়। বাদুড়িয়ায় সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙচুর। অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের নিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বৈঠকের সময় হামলা চালানো হয়। রড-লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত চার সিপিএম কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনিয়ে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
দিনকয়েক আগে হুগলির গোঘাটের কামারপুকুরে সিপিএম নেতার বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। ভেঙে যায় জানালার কাচ। উদ্ধার করা হয় একটি বোমাও। সিপিএমের অভিযোগ, মনোনয়ন তুলতে তাদের প্রার্থীদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় হামলা চালায় তৃণমূল। সিটুর রাজ্য কমিটির সদস্য তিলক ঘোষ বলেন,'প্রার্থীদের ভয় দেখাচ্ছে। রাতে বোমাবাজি করে তৃণমূল।'
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার গিধগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার সিপিএম প্রার্থী হয়েছেন সাইফুল শেখ। অভিযোগ, মনোনয়ন তুলতে চাপ দিতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সিপিএম প্রার্থীকে না পেয়ে তাঁর দাদাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এর পরের ঘটনা আরও ভয়াবহ! অভিযোগ, রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ ফাঁড়িতে ছুটে গেলেও কোনও সাহায্য মেলেনি। এই অবস্থায় আতঙ্কে গ্রাম ছাড়েন গিধগ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ জন সিপিএম প্রার্থী। তাঁদের ঠাঁই হয় কাটোয়ার সিপিএম পার্টি অফিসে। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেসের দুই প্রার্থীও।