সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পঞ্চায়েত শুনানি। সুপ্রিম কোর্টে মামলা শোনার আর্জি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commision)। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। বাহিনী চাওয়ার কাজ আমাদের নয়, রাজ্যের, সওয়াল রাজ্য কমিশনের। আপনাদের যদি বেশি সময় লাগে তাহলে কলকাতা হাইকোর্টে জানান, মন্তব্য বিচারপতিদের। মামলায় দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যের। 


আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত ভোটের বাহিনী-মামলার শুনানি। জরুরি ভিত্তিতে মামলা শোনার আর্জি নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি এম এস সুন্দ্রেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সওয়াল, বাহিনী  চাওয়ার জন্য কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট।কিন্তু বাহিনী চাওয়ার কাজ তাদের নয়, রাজ্যের। বিচারপতি সূর্যকান্ত কমিশনের আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরাকে বলেন, আপনাদের যদি বেশি সময় লাগে তাহলে আবার কলকাতা হাইকোর্টে জানান। কমিশনের আইনজীবীর সওয়াল, হাইকোর্ট তাদের সুযোগ দেয়নি বলেই তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালত দ্রুত এই মামলা শুনুক। এরপরই আগামীকাল শুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। 


৮ জুলাই রাজ্যে এক দফাতেই হবে পঞ্চায়েত ভোট।ঘোষণা করেছেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা। যদিও  ইতিমধ্যেই  মনোনয়ন পর্ব শেষ হয়েছে। তবে সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে ভোটের দিন ঘোষণা করায়, ক্ষোভ উগরে দিয়েছে বিরোধীরা। মনোনয়ন পেশের সময় পর্যাপ্ত নয়, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে করা মামলায় প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে জানায় আদালত। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাদের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে, মন্তব্য আদালতের। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করতে হবে, নির্দেশ দেয় আদালত।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ বলেন,  'রাজ্যপাল তাঁর মতো করে করছেন। কিন্তু তাঁর একটা সীমা আছে। তিনি নির্দেশ দিতে পারেন। কিন্তু এই সরকার তো কারও নির্দেশ মানে না। যেখানে সন্ত্রাস হচ্ছে, সেখানে নিজে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া উচিত। তিনি পুলিশমন্ত্রী। পুলিশ একরকম রিপোর্ট দিচ্ছে। পুলিশমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী আরেকরকম রিপোর্ট দিচ্ছে। পুলিশ বলছে একটাও মৃত্যু হয়নি। সেই রিপোর্ট দেখানো হবে কোর্টে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাঁড়িয়ে বলছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বলছেন, পুলিশমন্ত্রী হিসেবে বা তৃণমূলের নেত্রী হিসেবে বলছেন, সেটা আমরা বুঝতে পারছি না। তিনি বলছেন আমার পার্টির দুজন মারা গেছে। তাঁর পার্টির দুজন মারা গেছে, কংগ্রেসের দুইজন মারা গিয়েছে। সিপিএমের মারা গেছে। এই যে অভিযোগ করা হচ্ছে, কিন্তু পুলিশের রিপোর্টে সেটা নেই কেন ? যেটা সরকারিভাবে যাবে। এই চালাকিটা কেন করানো হচ্ছে ?'