উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে বিজেপির পার্টি অফিসে (BJP Party Office) আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। আহত দলীয় কর্মীর ছবি পোস্ট করে তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যপাল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ট্যাগ করে ট্যুইট করা হয়েছে।
আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মোটরবাইকে চড়ে প্রায় ১০০ জনের গুন্ডা বাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা বাধা দিতে এলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ। ট্যুইটে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই সারা রাজ্যে অশান্তির আগুন। জেলা জেলা থেকে প্রতিদিনই আসছে সংঘর্ষের খবর। এরই মাঝে মনোনয়নে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু অশান্তি থামছে কই? সোমবাও বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে এল সংঘর্ষের খবর।
নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীতলায় কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আত্মীয়ের বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর। কংগ্রেস প্রার্থী জামান মণ্ডলকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর কাকা, হাত ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
মনোনয়ন-পর্বের তৃতীয় দিনে কাকদ্বীপেও উত্তেজনা সকাল থেকে। কংগ্রেস প্রার্থী শিবানী দাসকে বিডিও অফিস চত্বরেই বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে নথি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানালেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, বিজেপি প্রার্থীদেরও মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
ভাঙড়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে ডিসিআর নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল । বিডিও অফিসের মধ্যে পুলিশের সামনেই মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমরিচা গ্রামের ঘটনা। কংগ্রেস প্রার্থী আশরফ আলি মোল্লার অভিযোগ, মনোনয়নে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরা। এরপর পুলিশের সাহায্যে বিডিও অফিসে ঢুকলেও, সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয়। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।