কলকাতা: দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। এদিকে দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন পর্ব পার হয়ে গেলেও অশান্তি অব্যহত। রাজ্যের একাধিক জেলায় অনেকে হিংসার কারণে মনোনয়ন পত্র জমাই করতে পারেনি বলে অভিযোগ বিজেপি শিবিরের। এদিন পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ
এদিন শুভেন্দু আরও বলেন,'প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশও অমান্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের', আদালত নিযুক্ত পর্যবেক্ষকের দাবি বিরোধী দলনেতার। এদিন তিনি বলেন, 'ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির আগে সর্বদল বৈঠক করেনি কমিশন', পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ শুভেন্দুর।
'মনোনয়ন প্রত্যাহারের তথ্য নেই কমিশনের নথিতে?'
'মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের তথ্য নেই কমিশনের নথিতে। বিরোধীদের মনোনয়নই করতে দেয়নি তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। সেজন্যই কি দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের তথ্য নেই কমিশনের নথিতে?'প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি জানিয়ে আরও বলেন, 'গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদের গণনা একসঙ্গে করতে হবে। গণনা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে একসঙ্গে পঞ্চায়েতের তিন স্তরের ভোটের গণনা করতে হবে।'
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চাপান উতোর অব্যাহত
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চাপান উতোর অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে আরও ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে ফের চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এদিকে ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মঞ্জুরের নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।প্রথম ধাপে ২২ কোম্পানি, পরের ধাপে আরও ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। এর মধ্যে সিআরপিএফ থাকবে ৫০ কোম্পানি, বিএসএফ থাকবে ৬০ কোম্পানি, ২০ কোম্পানি আইটিবিপি, ২৫ কোম্পানি এসএসবি , ২০ কোম্পানি আরপিএফ আসছে রাজ্যে। ২০ কোম্পানি আরপিএফ মোতায়েন হবে রাজ্যে। বাকি ১২ টি রাজ্য থেকে স্পেশাল আর্মড পুলিশ ফোর্স থাকবে ১১৫ কোম্পানি।
'ভোটার বেড়েছে..'
শুভেন্দু অধিকারী গতকাল বলেছিলেন, বিষয়টা হচ্ছে, মহামান্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, তাঁরা বলেছিলেন ২০১৩ সালকে, মান্যতা দিয়ে তার থেকেও বেশি অ্যারেজমেন্ট করতে হবে কেন ? তার কারণ হচ্ছে ২০১৩ সালে, বুথের যে সংখ্যা ছিল, এখন বুথের সংখ্যা হয়েছে ৬১ হাজার। তখন বুথের সংখ্যা এত ছিল না। বুথের সংখ্যা অন্তত মিনিমাম কয়েক হাজার বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, ভোটার সংখ্যা, ২০১৩ থেকে ২০২৩ এ, অন্তত এক-দেড় কোটি ভোটার বেড়েছে এই ১০ বছরে।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
শুভেন্দু আরও বলেন,' তৃতীয়ত ল্য অ্যান্ড অর্ডারের সিচ্যুয়েশন, ২০১৩ সালে যা ছিল, এখন তা খারাপ পরিস্থিতি। ২০১৩ থেকেও ভাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করার নির্দেশ ছিল।' বিষয় রয়েছে আরও একাধিক। শুভেন্দু আলোকপাত করে আরও বলেন,' ২০১৩ সালে পরে তিন দফা ছিল, পরে প্যারা মিলিটারি দিতে না পারার জন্য, ওটাকে পাঁচ দফায় করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবারে একদফাতে..কোম্পানির সংখ্যাটা ফ্যাক্টর নয়, প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ চাইছে, যেটা সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর দিয়েছে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন https://t.me/abpanandaofficial