মালদা: তৃণমূল ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদার ইংরেজবাজার (Malda)। ব্যাপক বোমাবাজি, একের পর এক বাড়ি ভাঙচুর, আগুন। গতকাল রাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ। টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে লড়ছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। এলাকার রাশ হাতে রাখা নিয়ে তৃণমূল ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের সংঘাত (TMC Clash)।


রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোনয়ন পর্বের দিন থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা উঠে আসছে। জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দিকে দিকে অশান্তির ছায়া ধরা পড়েছে। যে কারণে ভাঙড়-সহ একাধিক জায়গায়, মূলত যে জায়গাগুলিতে অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল, সেই জায়গায় সফর করেছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল। হিংসা রুখতে, অভিযোগ জানাতে রাজভবনে খোলা হয় চব্বিশ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম। আর এমনই এক আবহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন রাজ্যপাল।


ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'যেখানে ভোট-অশান্তি সেখানেই যাব।' সন্ত্রস্ত এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চান রাজ্যপাল। 'সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও বেছে বেছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই', প্রশাসনকে নিশানা করে ফের বললেন রাজ্যপাল।


রাজ্যপাল সম্প্রতি আরও বলেছিলেন,' আমি তাঁকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষের রক্তপাত নিয়ে দরাদরি করা যায় না। হিংসাকে যেকোনও মূল্যে নির্মূল করতে হবে। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়, কিন্তু হিংসা হচ্ছে। মানুষের রক্তের প্রতি বিন্দুর দায় নিতে হবে কমিশনারকে। যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


অপরদিকে, ভোটে কারচুপির বিষয় নিয়ে গতকাল, অধীর চৌধুরী বলেন, 'ব্যালট পেপার জোড়া ছাপা হচ্ছে। সেই ব্যালট বুথ থেকে স্ট্রংরুমে যাওয়ার পথে, পরিবর্তিত হবে। ব্যালট পেপার যারা ছাপায়, যাদের কাছে কম্পিউটারের চাবি থাকে, সেই চাবি পুলিশ চাইছে। সেই চাবি দিতে অস্বীকার করাতে পুরুলিয়ায় তিন তিনটে অফিসারকে  তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলায় এক ভয়ঙ্কর কারচুপির খেলা খেলছে। যেখানে মানুষের ভোটকে পরিবর্তন করে, যেখানে মানুষের ভোটকে পরিবর্তন করে তাঁদের জয়কে নিশ্চিত করতে চাইছে। তাই স্বাভাবিকভাবে বাংলায় আগামীদিনে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য তৃণমূলের নেত্রীর নির্দেশে, এই বাংলার  প্রশাসন পুলিশ সকলেই ময়দানে নেমে পড়েছে।'