কলকাতা : উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়ন পর্বে রক্তস্নাত বাংলা। ছ'দিনের মনোনয়ন পর্বের মাঝে মারামারি, হিংসা চরমে উঠেছিল। শেষমেশ মনোনয়ন জমা দেওয়ার নির্ধারিত শেষ দিনে গ্রাম বাংলার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়ার ও কেন্দ্রকে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের বার্তাও দিয়েছে আদালতের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর মাঝেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Ananda Bose)।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনার নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কিছুদিন আগেই রাজ্যপালের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল। অবশ্য শেষমেশ নবান্ন-র পাঠানো প্রথম প্রস্তাবিত নাম রাজীব সিনহাকেই রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আর নিয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণের ঘোষণা করেছিলেন নবনিযুক্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই রাজ্যজুড়ে হিংসার খবর দেখে যাঁকে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত ভোট যাতে আয়োজিত হয়, তা নিশ্চিত করতে কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন।
যদিও মনোনয়ন পর্বে হিংসা থামার বদলে দিন এগোনোর সঙ্গেই বেড়েছে উত্তরোত্তর। আর তা নিয়েই রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের বার্তা, 'নো ওয়ার্ডস, অনলি অ্যাকশন। জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ'। আর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের যে বার্তার পরই বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন, কোন পদক্ষেপ করবেন রাজ্যপাল ? অপেক্ষার বার্তা দিয়ে কোন 'অ্যাকশন'-এর ইঙ্গিত তিনি দিলেন ?
আরও পড়ুন- 'কোর্ট যা অর্ডার দিয়েছে আমরা মেনে চলব' আদালতের বাহিনী-নির্দেশে বার্তা কমিশনারের
প্রসঙ্গত, ২০১৩-র পুনরাবৃত্তি ২০২৩-এ। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) করানোর নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রদান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু স্পর্শকাতর এলাকা নয়, গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খেয়েছে কমিশন-রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় যে আদালত অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, সেটাও স্পষ্ট করে দেয় হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ও রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরাও।