সুজাপুর: নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে ফের আক্রমণে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সম্পাদকের নিশানায় ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। অধীরকে 'বিজেপি-র সবথেকে বড় এজেন্ট' বলে দাবি করলেন অভিষেক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলায় বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপি-র আঁতাত তৈরি হয়েছে বলে দাবি করলেন অভিষেক (Panchayat Elections 2023)। 


রবিবার মালদার সুজাপুরে নির্বাচনী সভা করেন অভিষেক। সেখান থেকেই অধীরকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, "বিজেপি-র সবথেকে বড় এজেন্টের নাম অধীর চৌধুরী। পটনায় রাহুল গাঁধী বলছেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়বেন। আর বাংলায় অধীর চৌধুরী বিজেপি নেতাদের সুরে কথা বলছেন। বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম জোট হয়েছে বাংলায়। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস।"


পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। তা নিয়ে সম্প্রতি পটনায় বিজেপি বিরোধী শিবিরের বৈঠকও বসে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল উপস্থিত ছিলেন। একজোটে বিজেপি-কে হারানোর পণই নেওয়া হয়েছে সেখানে। তা নিয়ে দিন তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। পটনার বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনেই এদিন অধীরকে নিশানা করেন অভিষেক।  


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'প্রয়োজনে দিল্লিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন,' হুঁশিয়ারি অভিষেকের


তবে এই প্রথম নয়, বাংলায় বাম-কংগ্রেস আঁতাত নিয়ে তৃণমূলের তরফে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিধানসভা উপনির্বাচনে সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেসের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে জেতাতে বিজেপি-রও সমর্থন ছিল বলে অভিযোগ করে তারা। খোদ মমতা 'জগাই-মাধাই-গদাই' বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বায়রন যদিও তৃণমূলে যোগ দেন। তবে বাম-কংগ্রেস এবং বিজেপি-র গোপন আঁতাত নিয়ে অভিযোগ থেকে সরছে না তৃণমূল। 


এ দিন তাই অভিষেককে বলতে শোনা যায়, "বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমের জোট হয়েছে বাংলায়। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস। অনেক জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে, সিপিএম-কংগ্রেস দেয়নি। অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের প্রার্থী, সেখানে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি-সিপিএম। অনেক জায়গায় সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে, সেখানে বিজেপি-কংগ্রেস প্রার্থী দেয়নি। "


এজেন্সি ইস্যুতে এদিন ফের বিজেপি-কে নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, "ইডি-সিবিআই দিয়ে এত অত্যাচার করেছে। প্রতি পদে তৃণমূলের সামনে বাধার চেষ্টা করেছে। এত সিবিআই-ইডি লাগিয়েও আমার কিচ্ছু করতে পারেনি।" বকেয়া আটকে রাখ নিয়ে অভিষেকের বক্তব্য, "কখনও দিল্লি থেকে টাকা আটকে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা বন্ধ করে রেখেছে। এটা আমাদের প্রাপ্য টাকা, অধিকারের টাকা। কোনও নেতা-মন্ত্রীর এই টাকা আটকে রাখার ক্ষমতা নেই।"