উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কোচবিহার : ভোটের দিন গোটা বাংলায় দিকে দিকে ভোট সন্ত্রাসের মাঝে, অশান্তি-খুনের ঘটনায় দিনভর শিরোনামে উঠে এল কোচবিহার। দিনহাটার ( Dinhata ) খাটামারির ১৯১ নম্বর বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠল। তাই নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধে গেল বুথের বাইরে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূল ( TMC ) । এরপর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই ভোট শেষ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
প্রিসাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারধর
অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারধর করে ছাপ্পা ভোট দেয় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা তৃণমূল কর্মীরা এসে ব্যালট পেপার ফেলে দেয়। বুথ ভাঙচুর করে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের মেরে তাড়ানো হয় বলে অভিযোগ।
দিনহাটায় বুথ তছনছ
শুধু সেই ঘটনাই নয়, ভোট শুরুর আগে দিনহাটায় বুথ তছনছ হল। মাটিতে গড়াগড়ি খেতে দেখা গেল ব্যালট পেপার। অভিযোগ, রাত আড়াইটে নাগাদ বুথে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা । ব্যালট বক্স ভেঙে মাঠে ফেলে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার কড়াকড়ির মধ্যে কীভাবে তাণ্ডব চলল? কারা তাণ্ডব চালাল? ভোট আদৌ শুরু করা যাবে? মুখে কুলুপ প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর।
মাস্কেট বাহিনীর দাপট
কোচবিহারের মাটি তেতে রইল একের পর এক অশান্তিতে। দিনহাটা ব্লকের শিবেশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৬১ নম্বর বুথের বাইরে দেখা গেল মাস্কেট বাহিনীর দাপট। ভয়ে কাঁটা হয়ে রইলেন ভোটাররা। বাধা দিতে গিয়ে ফাটল কংগ্রেস প্রার্থী মনিরুল হকের মাথা । পায়ে বোমার স্প্লিন্টার লেগে আহত হন এক তৃণমূল কর্মী।
গুলিবিদ্ধ ভোটার
অন্যদিকে দিনহাটার ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট ফলিমারিতে গুলিবিদ্ধ হলেন ভোটার। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ভোটার শহিদুল মিয়ার পায়ে গুলি লাগে। তিনি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
অন্যদিকে, দিনহাটার ঘুঘুমারি এলাকার নিউ গীতালদহে ১৮৮ নম্বর গুলিবিদ্ধ হলেন ভোটার। বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী রেজাউল করিমের হাতে গুলি লাগে। অসহায় প্রিসাইডিং অফিসারকে ঘিরে ধরেন মহিলা তৃণমূল কর্মীরা। ভয়ে কেঁদে ফেলেন প্রিসাইডিং অফিসার। গুলি চলার পর ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেন ভোটাররা !
আরও পড়ুন :