দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে পুলিশের বচসা। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে সরব সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে এনিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র নিশানা করেছেন তিনি। সুকান্ত বলেন, 'ভোটের পরেও তৃণমূলের হিংসা অব্যাহত। রাজ্য জুড়ে ভোটে তিনডজন, পশ্চিমবঙ্গ সাধারণ গরীব মানুষের রক্ত শোষণ করেও ক্ষান্ত হয়নি শাসক।'
এদিন তিনি সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদতে ভোটের দিন ভোট লুঠ, ছাপ্পা, মানুষের অত্যাচার, খুন করার পর ভোট পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিশেষ করে তপন বিধানসভার অন্তর্গত এলাকায়..বিজেপি কার্যকর্তা ও গনতন্ত্র প্রেমী মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের জল্লাদ বাহিনী।' প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনা শুরু হয় জেলায় জেলায়। মনোনয়ন পর্ব চলাকালীনও অশান্তির ঘটনার বহর বাড়তে থাকে। ভোটের আগে ও ভোটের দিন কম রক্তাক্ত হয়নি বাংলা। যা নিয়ে সরব হয়েছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক দলের নেতা-নেত্রীরা। পাশাপাশি ছাপ্পা ভোট এবং রিগিং ঘিরেও হিংসার ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছিল।
ভোটের পরেও রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদ। সালার থেকে সামশেরগঞ্জ, মুহুর্মুহু বোমাবাজি। তৃণমূল ও নির্দলদের মধ্যে এলাকা দখল ঘিরে সংঘর্ষ। বন্দুক হাতে দাপাদাপি। একের পর এক বুথে ব্যালট লুঠ। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় তুলকালাম হয়। এসইউসিআই কর্মীর ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। দোকান থেকে বের করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।ভোটপর্ব মেটার পরেও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে অশান্তি অব্যাহত। আজ সকাল থেকে হীরানন্দপুরে নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের বচসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বোমাবাজি। এলাকায় একের পর এক বোমা পড়ছে। চলছে ইটবৃষ্টি। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। খবর পেয়েও গ্রামে ঢুকতে পারেনি সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
অপরদিকে, এদিন হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, 'বাঙালি হিসেবে লজ্জিত, মর্মাহত, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। আর কতদিন এসব চলবে, যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা পাল্টাতে পারছি না। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ২০০৮ সালে বাম আমলে মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, ভয়ঙ্কর নাড়া দিয়েছিল। এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সব রাজনৈতিক দলগুলি।'