বেঙ্গালুরু: সংখ্যালঘুদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বইছে দেশে। নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রধানমন্ত্রী ঘৃণা ভাষণ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। সেই আবহেই মোদিকে একহাত নিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। কংগ্রেস মহিলাদের মঙ্গলসূত্র খুলে নিতে পিছপা হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন মোদি। সেই নিয়েই মোদিকে জবাব দিলেন প্রিয়ঙ্কা।
বেঙ্গালুরুতে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেখানে প্রকাশ্য সভা থেকে মোদিকে তীব্র বেঁধেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা বলেন, "কংগ্রেস আপনাদের মঙ্গলসূত্র, সোনা ছিনিয়ে নেবে বলে গত দু'দিন ধরে প্রচার করা হচ্ছে। স্বাধীনতার সাত দশকে ৫৫ বছর কংগ্রেসের সরকার ছিল। এত বছরে কেউ কি আপনাদের মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নিয়েছে?" (Mangalsutra Remarks)
মোদিকে বিঁধে প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, "যুদ্ধ চলাকালীন নিজের গয়না দেশকে উৎসর্গ করেছিলেন ইন্দিরা গাঁধী। আমার মা এই দেশের জন্য নিজের মঙ্গলসূত্র বিসর্জন করে দিয়েছেন। আসল কথা হল, এদের (বিজেপি) মহিলাদের সংগ্রাম বোঝার ক্ষমতাই নেই।" ১৯৯১ সালে উগ্রপন্থীদের হাতে খুন হন রাজীব গাঁধী। মোদির আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে বাবার প্রাণ বিসর্জনের কথাই স্মরণ করিয়ে দেন প্রিয়ঙ্কা।
আরও পড়ুন: PM Modi: SC/ST-এর কোটা কমিয়ে মুসলিমদের সংরক্ষণ দিতে চেয়েছিল কংগ্রেস, অভিযোগ মোদির
গত ২১ এপ্রিল রাজস্থানের বাঁসওয়ারায় নির্বাচনী প্রচারে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মোদি। মানুষের কষ্টার্জিত টাকা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে 'বেশি সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেওয়া মানুষের হাতে' কংগ্রেস তুলে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "শহুরে নকশাল মনোভাবাপন্নরা (কংগ্রেস) মা-বোনেদের মঙ্গলসূত্রও ছেড়ে দেবে না।"
মোদির ওই মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'পরাজয়ের আতঙ্ক চেপে বসেছে। সেই থেকেই কংগ্রেস মঙ্গলসূত্র ছিনিয়ে নেবে, স্ত্রীধন হরণ করবে, মন্দিরের সম্পত্তি দখল করে অন্যের হাতে তুলে দেবে বলে উল্টোপাল্টা দাবি করছেন (মোদি)। বিজেপি-র অতি বড় অনুরাগীও এসব অর্থহীন কথায় বিশ্বাস করবেন না। এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে RSS নেতারা কী ভাবছেন, জানতে চাই আমি'।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিশানা করেছেন বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। মোদির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন বিরোধীরা। সাধারণ মানুষের একাংশও বিষয়টি নিয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।