কলকাতা: প্রথমে জার্মানি, তারপর আমেরিকা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal Arrest) আবগারি দুর্নীতি (Excise Policy Scam) মামলায় গ্রেফতার করার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বক্তব্য় রেখেছিল আমরিকা। তারপরেই বুধবার দিল্লির সাউথ ব্লকে (South Block) বিদেশমন্ত্রকের (Foreign Ministry)) অফিসে ডেকে পাঠানো হল ভারতে কর্মরত আমেরিকার (USA on Arvind Kejriwal Arrest) অ্যাক্টিং ডেপুটি চিফ অফ মিশনকে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ৪০ মিনিট ধরে এই মিটিং চলে। সেই মিটিংয়ে ঠিক কী কী কথা হয়েছে তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। যদিও এমন দিনে এই মিটিং হল, যার আগের দিন আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন যে আমেরিকা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। নয়া দিল্লির কাছে আবেদন করে বলা হয় অরবিন্দ কেজরিওয়াল যেন নিরপেক্ষ বিচার পান এবং বিচারপ্রক্রিয়া যেন সময় মেনে হয়।
সম্প্রতি দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তার আগে একাধিক শমন পাঠানো হয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। ইডির (ED Arrest Arvind Kejriwal) অভিযোগ ছিল, আবগারি দুর্নীতিতে অন্যতম মূল চক্রী ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য় নীতি তৈরি হয়েছিল। তার পরিবর্তে আপ- ঘুষ নিয়েছিল যা একাধিক ভোটের খরচে ব্যবহার করা হয়েছে বলে ইডির অভিযোগ। তাঁকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই মামলাতেই এর আগে মণীশ শিশোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, সঞ্জয় সিংহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কদিন আগেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে জার্মানির তরফে একটি বক্তব্য পেশ করা হয়েছিল। জার্মানির বিদেশমন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছিল যে কেজরিওয়াল যেন নিরপেক্ষ বিচার পান। সেই ঘটনাতেও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ভারত সরকার। জার্মানির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে জানানো হয়েছিল এই ধরনের বক্তব্যের মাধ্য়মে ভারতের অভ্য়ন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো হচ্ছে বলে জানানো হয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছিল, এই ধরনের মন্তব্যকে ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ এবং ভারতের স্বাধীন বিচারব্যবস্থাকে খাটো করে দেখানোর প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।