কলকাতা: দূর থেকে নয়, বরং একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব বলেই তৃণমূলে যোগদান। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন, বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। শুধু তাই নয়, তাঁর চ্য়ালেঞ্জ ২০২৪-এ পরিবর্তনের সূচনা হবে বাংলা থেকে। আজ তৃণমূল ভবনে সুদীপ-ডেরেক-সুব্রতদের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন যশবন্ত।


যশবন্ত সিনহা বলেন, “এই যোগদান ছাড়াও আজ বিশেষ দিন। আজ ডেরেক ও’ব্রায়েনের জন্মদিন। আপনাদের মনে হচ্ছে কেন আমি আবার রাজনীতিতে এলাম। দেশের পরিস্থিতি বড়ই অদ্ভূত। যে নীতি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে তা আদৌ হচ্ছে না। আমাদের দেশের পক্ষে ক্ষতিকর সময়। প্রজাতন্ত্রের মানে ৫ বছর অন্তর শুধু ভোট দেওয়া নয়, এর অর্থ ২৪*৭ সরকার মানুষের কাজ করবে। এদিন তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়ে মোদি সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। তাঁর কথায়, “কৃষকদের নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা নেই। দিল্লির বুকে তাঁরা বসে আছেন। দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান দুর্বল। শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্র দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যে কোনওভাবেই ভোটে জেতা এখন বিজেপির লক্ষ্য।”


আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021 Live Updates: বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত তৃণমূলে


একইসঙ্গে তিনি তুলে ধরেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানা এবং নরেন্দ্র মোদির জমানার পার্থক্য। তিনি বলেন, “অটলজীর দল আর এখনকার বিজেপির আকাশপাতাল তফাত। অটলজী সবাইকে নিয়ে চলতেন। আজকের বিজেপি সবাইকে পদানত করতে চায়। বিজেপিকে ছেড়েছে অকালি দল, শিবসেনা, বিজেডি। পুরনো সাথীদের মধ্যে একমাত্র নীতীশ কুমার আছেন। সবাই চলে গিয়েছেন, কারণ বিজেপির সঙ্গে চলা যায় না। মমতাজী, আমি অটলজীর সরকারে ছিলাম। কান্দাহারে বিমানকে বাঁচাতে নিতে পণবন্দি হতে রাজি ছিলেন মমতা। মোদি-শাহ দিল্লি থেকে যা করছেন, তা দেশবাসী বরদাস্ত করবে না। শুধু বাংলায় নয়, দেশের ভবিষ্যতের পক্ষে এই ভোট গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪-এ পরিবর্তনের সূচনা হবে বাংলা থেকে।”


এদিন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলে একজন মমতা যেমন আছেন, তেমন যশবন্ত সিনহা এলেন। তৃণমূলে যোগ দিলেন যশবন্ত সিনহা। আমরা গর্বিত। তিনি শুধু বিহারের মানুষ না। তৃণমূল কংগ্রেসের পথ প্রদর্শক হিসেবে থাকবেন। জ্ঞান-বুদ্ধির পাশাপাশি ওঁর বিনম্রতা আমাদের ভাল লাগে। আজ গৌরবময় দিনের একটি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন নন্দীগ্রামে। তাই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারলেন না তিনি।” যশবন্ত সিনহাকে স্বাগত জানিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যতবার কঠিন পরিস্থিতি এসেছে ততবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন উনি। আজও ৪৫ মিনিট কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যশবন্ত সিনহার। যশবন্ত সিনহার তৃণমূলে যোগদান ইতিবাচক হবে।”