কলকাতা: রবিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অধিকারীদের কথাতেই নন্দীগ্রামে পুলিশ ঢুকেছিল। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। বাম নেতারা দাবি করছেন, সত্য অবশেষে উন্মোচিত। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সেদিন ভুল করেননি বলে সরব হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী। মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছিল বলেও তোপ দেগেছেন বাম নেতারা।
যাদবপুরের বাম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আমরা জানতাম সত্য একদিন নিজেই আত্মপ্রকাশ করবে।’ বুদ্ধবাবুর উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, ‘আপনাকে ভুল বোঝার খেসারত আজকেও বাংলাকে দিতে হচ্ছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, 'সেদিন যারা মিথ্যে বলে, নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বাংলার যুবদের ভবিষ্যৎ শেষ করে দিয়েছিল, আজকে তারা নিজেরাই নিজেদের মিথ্যের মুখোশ ছিঁড়ছে। আমরা কিন্তু একই জায়গায় আছি। শিল্পায়নের মধ্যে দিয়ে চাকরি তৈরি আমাদের পাখির চোখ। সেই গন্তব্যে পৌঁছতে আপনার যাদবপুরে পথ হাঁটছেন আপনার স্নেহের কমরেড সুজন চক্রবর্তী। আপনার দেখানো পথে আমাদের জয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।'
সুজন এবিপি আনন্দকে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী ধরা পড়ে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দলের ঝগড়ার কারণে, তৃণমূল-বিজেপি ঝগড়ার কারণে সব কথাকে কার্যত স্বীকার করে ফেললেন। নন্দীগ্রামে গুলিচালনা নিয়ে উনি এতদিন পর্যন্ত বামফ্রন্ট সরকারকে যেভাবে দোষারোপ করছিলেন, কালকে তাঁর কথা কার্যত ঘুরে গেল। বুদ্ধবাবু বলেছিলেন, দশ বছরের মধ্যে লোকে বুঝতে পারবে কীভাবে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে নন্দীগ্রামে মানুষের জন্য যে কল্যাণমুখী কাজ বামফ্রন্ট করতে চাইছিল, তার সর্বনাশ করা হয়েছে। এটা মানুষ বুঝতে পারবে। কালকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশ অধিকারীদের জন্য ওখানে ঢুকেছিল। অধিকারীরা কারা? অধিকারীরা বলছে, যা আমরা করেছি সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। মমতা বলছে যা হয়েছে অধিকারীদের কথায়, অধিকারীরা বলছে সব হয়েছে মমতার কথায়। স্পষ্ট হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী তখন ক্ষমতা দখলের জন্য মিথ্যে বলেছিলেন। জবরদস্তি মিথ্যে বলেছেন, বাংলার সর্বনাশ করেছেন। এর দায় ওঁকে নিতেই হবে।'
নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুরে শ্মশানের নীরবতা, সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের জেতানোর বার্তা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর
সোমবারই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধে বিবৃতি দিয়েছেন।