দুবরাজপুর : ফের বিক্ষোভের মুখে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় (TMC MP Satabdi Roy)। এবার দুবরাজপুর ব্লকের (Dubrajpur Block) চিনপাই গ্রামে দলীয় প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন শতাব্দী রায়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, জলের অভাব, মিলছে না বার্ধক্য ভাতাও। বারবার আবেদন করেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এর আগে বীরভূমে নিজের কেন্দ্রে সিউড়ি ও খয়রাশোলেও ক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী।


দিন দু'য়েক আগেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে বীরভূমের সিউড়িতে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী রায়। তৃণমূল সাংসদের কাছে পানীয় জল, রাস্তা, আবাস যোজনায় বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী। যতটুকু ক্ষমতা ততটুকু নিশ্চয় করব বলে আশ্বাস দেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। যদিও চুরির হিসেব নিচ্ছেন গ্রামবাসী বলে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপি। 


বীরভূমে নিজের কেন্দ্রে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী রায়। ভোটের প্রচারে গিয়ে শুনতে হল গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এদিন সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের বড়গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে যান বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর সামনে পানীয় জল, রাস্তা, আবাস যোজনায় ঘর মেলেনি বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী। যদিও ক্ষোভের কথা মানতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ। সাফাই দেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। শতাব্দী বলেন, 'আমাকে এস্টিমেট দিক, থাকলে করে দেব। আসলে কী হয়েছে, একটা লোক ২টো করে ৩টে করে সবাইকে আলাদা করে দিচ্ছে। সরকারের তো বাজেট থাকে। কেউ কেউ ৩টে বাড়ি পেয়েছে...সেটা বলছে না।'


এর আগে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে দিদির দূত হিসেবে একাধিকবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শতাব্দীকে। রামপুরহাট, নলহাটি, মহম্মদবাজার, দুবরাজপুরে গিয়ে গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হয় তৃণমূল সাংসদকে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন শতাব্দী। 


প্রসঙ্গত, কেষ্টর কায়দাতেই এবারেও লালমাটিতে পঞ্চায়েত দখলের হিড়িক। এবারেও বীরভূমে হিট 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা' ফ্যাক্টর। তৃণমূলের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই চলে গেছে নানুরের ১১ টি  ও বোলপুর ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত । একইভাবে লাভপুরের ৯ টি পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। বোলপুর ব্লকের সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে। কিন্তু কেন এতগুলো পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কীভাবে জিতল তৃণমূল?


বিভিন্ন পঞ্চায়েতে একের পর এক মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। কেউ 'ব্যক্তিগত' কারণ দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আবার কেউ কারণ হিসাবে 'শরীর অসুস্থ', 'পারিবারিক সমস্যা'-র কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই গ্রাম পঞ্চায়েত আসন। কিন্তু বীরভূমে কেন পরপর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন বিরোধী প্রার্থীরা ? নেপথ্যে কি শাসকের 'চাপ'? বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে জল্পনা থাকলেও, প্রকাশ্যে অবশ্য মুখ খোলেননি প্রত্য়াহারকারী বিরোধী প্রার্থীরা।


আরও পড়ুন ; ভোট প্রচারে গিয়ে ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায়


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial