বীরভূম: সিউড়ির পর খয়রাশোল (Khoyrasol, Birbhum), ফের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। বীরভূমে নিজের কেন্দ্রে ফের গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে তৃণমূল সাংসদ। ভোট প্রচারে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে শতাব্দী। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না পাওয়া নিয়ে নালিশ গ্রামবাসীদের। ক্ষোভের মুখে পড়ে মেজাজ হারান শতাব্দী।


প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলহীন বীরভূমে সম্প্রতি বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী রায়। সিউড়িতে ভোট প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল সাংসদ। পানীয় জল ও আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে শতাব্দী। তিনি বলেছিলেন, 'বাড়ি-ত্রিপল পায়নি বলছে। আর নদীর ব্রিজ বলছে। ওটা আমাকে জানতে হবে কী টাকা। যে টাকা সেটা আমার কাছে আছে কি না জানতে হবে। আমি বলে যাব, হ্যাঁ করে দেব। আমি ওরকম কথা বলি না। সুতরাং, আমাকে একটা এস্টিমেট দিক। সেটা যদি আমার কাছে থাকে, আমি করে দেব। ' 


কেষ্টর কায়দাতেই এবারেও লালমাটিতে পঞ্চায়েত দখলের হিড়িক। এবারেও বীরভূমে হিট 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা' ফ্যাক্টর। তৃণমূলের ঝুলিতে ইতিমধ্যেই চলে গেছে নানুরের ১১ টি  ও বোলপুর ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত । একইভাবে লাভপুরের ৯ টি পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। বোলপুর ব্লকের সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূলের দখলে। কিন্তু কেন এতগুলো পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কীভাবে জিতল তৃণমূল?


বিভিন্ন পঞ্চায়েতে একের পর এক মনোনয়ন প্রত্যাহার করছেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। কেউ 'ব্যক্তিগত' কারণ দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করছেন। আবার কেউ কারণ হিসাবে 'শরীর অসুস্থ', 'পারিবারিক সমস্যা'-র কথা উল্লেখ করছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই গ্রাম পঞ্চায়েত আসন। কিন্তু বীরভূমে কেন পরপর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বিরোধী প্রার্থীরা ? নেপথ্যে কি শাসকের 'চাপ'? বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে জল্পনা থাকলেও, প্রকাশ্যে অবশ্য মুখ খোলেননি প্রত্য়াহারকারী বিরোধী প্রার্থীরা। 


এদিকে লালমাটির জেলায় এর আগে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শতাব্দী রায় ( Satabdi Roy )। সিউড়ির কৈখি গ্রামে তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তা, পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন এক বৃদ্ধা। পরে গ্রামে গেলে সেখানেও রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন গ্রামবাসী।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


জানুয়ারি মাসে রামপুরহাটের বিষ্ণুপুর গ্রামে, জনসংযোগে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সেখানে তাঁকে দেখেই রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল গ্রামবাসী। শুধু সেখানেই নয়, জানুয়ারিতে  রামপুরহাট, নলহাটির পর মহম্মদবাজারেও দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে, বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী। মহম্মদবাজারের ফুল্লাইগ্রামে, শতাব্দীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল গ্রামবাসী। মূলত, পানীয় জল, আবাস যোজনায় বাড়ি না পাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেয় গ্রামবাসী। স্থানীয়রা দাবি করে , ' আমরা জল চাই, স্বাস্থ্য় চাই। আমরা চাষের সুবিধা চাই, আমাদের গ্রামে ১৫ বছরেও জল হয়নি।'