শান্তনু নস্কর, গোসাবা (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) : দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে উদ্ধার হল, প্রচুর পরিমাণ অস্ত্র। গোসাবা লাগোয়া জীবনতলায় খোঁজ মিলল অস্ত্র কারখানার। যা নিয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেছেন, 'গ্রিল কারখানার আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। ১০টি পিস্তল, প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম।' 


এমনিতেই উৎসবের মধ্যে বাংলায় আরও এক ভোটযুদ্ধ। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, নদিয়ার শান্তিপুর ও কোচবিহারের দিনহাটায় উপনির্বাচন। শুধু শান্তিপুরে লড়াই চতুর্মুখী, বাকি তিন কেন্দ্র ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বিধানসভা ভোটে ৪ কেন্দ্রের স্কোরশিট ছিল ২-২। জল-জঙ্গল ঘেঁষা গোসাবাতে লড়াই ত্রিমুখী। আসন ধরে রাখতে তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। বিজেপির প্রার্থী পলাশ রানা ও আরএসপি হয়ে লড়ছেন অনিলচন্দ্র মণ্ডল।


গোসাবা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৩৩০। মোট ভোটার ২ লক্ষ ৩০ হাজার। এই কেন্দ্রের জন্য ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন- মনোনয়ন পর্ব থেকেই চলছে সংঘাত, ভোটের মুখে তীব্র সংঘাত, উপনির্বাচনে বাড়তি নজর দিনহাটায়


নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ৩০ অক্টোবর ভোটের দিন কোচবিহারের দিনহাটার ৪১৭টি বুথের দায়িত্বে থাকবে ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নদিয়ার শান্তিপুরের ৩৫৯টি বুথে ২২ কোম্পানি। উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দার ৩৩৫টি বুথে ২০ কোম্পানি। এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবার ৩৩০টি বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ২৩ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী। একটি ভোটকেন্দ্রে যদি একটি বুথ থাকে, সেখানে থাকবেন ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ২ থেকে ৪টি বুথ থাকলে, ৮ জন। ৫ থেকে ৮টি বুথ থাকলে ১৬ জন এবং ৯ বা তার বেশি বুথ থাকলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২৪ জন জওয়ান। 


আরও পড়ুন- লড়াইয়ের মঞ্চে মন্ত্রিসভার সদস্য শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নজরে খড়দা বিধানসভা


আরও পড়ুন- রাত পোহালেই উপনির্বাচন, নজরে নদিয়ার শান্তিপুর