ডেবরা: বৃহস্পতিবার দুই প্রাক্তন আইপিএসের লড়াই। বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ। তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছেন হুমায়ুন কবীর। বৃহস্পতিবার ডেবরায় বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ভারতী। তিনি বহিরাগতদের নিয়ে বুথে যাচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে ভারতীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী ও সমর্থকেরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে।


পরে অবশ্য পাল্টা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশের যে গাড়ি, সেটিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। পথ অবরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয় তাঁদের। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের মণ্ডল সভাপতিকে ফাঁসানো হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশকে প্রভাবিত করেছে তৃণমূল।


পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার দিকেও এবার নজর সকলের। এখানে লড়াই দুই প্রাক্তন IPS-এর। ডেবরায় বিজেপি প্রার্থী করেছে ভারতী ঘোষকে, আর তৃণমূলের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। এর মধ্যে ভারতী ঘোষ একটা ভোটে লড়াই করে ফেলেছেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে হারলেও, বিধানসভাভিত্তিক ফলে ডেবরায় এগিয়ে ছিলেন তিনি। অন্যদিকে হুমায়ুন কবীরের বাড়ি ডেবরায়।


এদিকে, দ্বিতীয় দফা ভোটের আগের রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটল। দাদপুরে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


মৃতের নাম উত্তম দলুই। পরিবারের দাবি, গতকাল গভীর রাতে বাড়ির সামনেই ওই তৃণমূল কর্মীকে মারধর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ছুরি দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল কর্মীকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


ভোটের ডিউটিতে এসে স্কুল ঘর থেকে উদ্ধার পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ


নিহত উত্তম দলুইয়ের বাড়ির থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। সেখানে বুধবার রাতে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। রান্না করা হয়ে গিয়েছিল। খাওয়াদাওয়া চলছিল। অভিযোগ, সেই সময়ই বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা উত্তমের ওপর চড়াও হয়। পার্টি অফিস থেকে টানটে টানতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী একটি কালভার্টের কাছে। সেখানেই তাঁর পেটে দুষ্কৃতীরা ছুরে ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। স্থানী.দের দাবি, পেটে ছুরির ফলা ঢুকে ছিল। হাতলটি খুলে যায়। সেটিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী বলছেন, 'বিজেপির ৩০-৩৫ জন এসেছিল। কথাবার্তা বলার সময়ই আচমকা ওকে টেনে নিয়ে চলে যায়।'