কলকাতা: এতদিন তাঁর প্রোফাইলের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। যদি কোনও ভাল খবর পাওয়া যায় প্রিয় অভিনেত্রীর। প্রোফাইলের ডিপিতে ঝলমল করছিল তাঁদের দুজনের ছবি। ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) আর সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। ঐন্দ্রিলার যাবতীয় অসুস্থতার খবর অনুরাগীদের তিনিই তো দিয়েছেন তিনি। বলা ভাল, ভাল খবর। তিনি সবসময় লিখতেন ঐন্দ্রিলার ভাল থাকার কথা, ফিরে আসার কথা। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকেই ছন্দপতন। সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে যেন নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নিচ্ছিলেন সব্যসাচী। তা কি ঐন্দ্রিলার অবনতি দেখেই?                                                                                                       


আর আজ, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইল সরিয়ে দিলেন সব্যসাচী। গতকালই তিনি ঐন্দ্রিলা শর্মার অসুস্থতা সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্ট মুছে দিয়েছিলেন। শনিবার অর্থাৎ গতকাল থেকেই শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে ঐন্দ্রিলার। এর আগে ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনা করার কথা লিখেছিলেন সব্যসাচী। সেই ডাকে একত্রিত হয়েছিলেন টলিউডের সবাই। ঐন্দ্রিলার সুস্থতা কামনায় সবাই প্রার্থনা করেছিল মন থেকে। কিন্তু মাঝে মাঝে মিরাকল হয় না, প্রার্থনাও হেরে যায় শারীরিক লড়াইয়ের কাছে।         


আরও পড়ুন: Aindrila Sharma Death: একাধিক ব্রেন স্ট্রোক, বার বার হার্ট অ্যাটাক, শেষ ২০ দিন অসম লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা


শনিবার অর্থাৎ ১৯ তারিখ সন্ধেয় ফের একবার 'মাইল্ড কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট'-এ আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা । পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকেন তখন থেকেই । শনিবার রাতে পর পর ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয় ঐন্দ্রিলার । রবিবার দুপুরে আর লড়াই করতে পারলেন না ঐন্দ্রিলা । অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ, তাপমাত্রা... সবকিছুই যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল ধীরে ধীরে । ঐন্দ্রিলাও যেন ধীরে ধীরে দূরে চলে যাচ্ছিলেন.. রবিবার দুপুরে আর পারলেন না ঐন্দ্রিলা। দুবারের মতো তৃতীয়বার আর ফেরা হল না ফিনিক্স হয়ে ।                     


সব্যসাচীর প্রোফাইলে ঝলমল করছিল ঐন্দ্রিলার ছবি। কিন্তু আজ তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরার পরে ফেসবুকে আর কোনও অস্থিত্ব নেই সব্যসাচীর। ইনস্টাগ্রামে অবশ্য এখনও রয়েছে সব্যসাচীর প্রোফাইল। তবে সেখানে তেমন সক্রিয় নন অভিনেতা। বন্ধু সৌরভ দাস সবাইকে অনুরোধ করেছেন সব্যসাচীর সঙ্গে এখন যোগাযোগের চেষ্টা না করতে। সম্ভবত শোকের আবহে নিরবতা বজায় রাখতেই প্রোফাইল সরিয়ে নিয়েছেন সব্যসাচী।