নয়াদিল্লি: একদিকে পপতারকা রিহানা (Rihanna), আর তাঁর পাশে বলিউড অভিনেত্রী জাহ্নবী কপূর (Janhvi Kapoor)। দু'জনেই কোমর দোলাচ্ছেন জনপ্রিয় হিন্দি গান 'জিঙ্গাট'-এ (Zingaat)। ভিডিও নিজেই পোস্ট করেছেন জাহ্নবী, যা হুড়মুড়িয়ে ভাইরাল হয়েছে।
রিহানা-জাহ্নবীর একসঙ্গে নাচ, মন জয় অনুরাগীদের
১ মার্চ থেকে গুজরাতের জামনগরে শুরু হয়েছে ধনকুবের মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের তিন দিন ব্যাপী প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানের। তারই প্রথম দিনে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন তারকা রিহানা পারফর্ম করেন। গোটা ট্রুপ নিয়ে তিনি ভারতে পা রাখেন ২৯ ফেব্রুয়ারি। এই প্রথম ভারতে শো করলেন তিনি। তবে অনুষ্ঠানের পর তিনি মাতেন বিয়ের আনন্দে। হুল্লোড়ে সামিল হন ভারতীয় তারকাদের সঙ্গে।
এদিন একটি ভিডিও পোস্ট করেন জাহ্নবী নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে। সেখানে দেখা গেল নিজের সিনেমা 'ধড়ক'-এর জনপ্রিয় গান 'জিঙ্গাট'-এ বলিউড 'ঠুমকা' দিতে শেখাচ্ছেন তিনি রিহানাকে। জাহ্নবীকে নকল করে এরপরই মঞ্চে আগুন ধরান তিনি। ভিডিও শেয়ার করে তখনও যেন ঘোরের মধ্যে অভিনেত্রী, লেখেন, 'এই ভদ্রমহিলা যেন ঈশ্বর।'
ভিডিও পোস্ট হতেই শেয়ারের বন্যা। কেউ লিখলেন, 'জাহ্নবী কপূর রিহানাকে জিঙ্গাটে নাচ করাচ্ছেন! দারুণ!' একজন লিখলেন, 'অসাধারণ মুহূর্ত'। তাঁরা একসঙ্গে বেশ উপভোগ করেছেন বলাই বাহুল্য। এদিনের পারফর্ম্যান্সে নিজের একের পর এক হিট গান শোনান রিহানা। তার মধ্যে ছিল 'উই ফাউন্ড লভ'। মঞ্চে দাঁড়িয়ে এদিন হবু দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান গায়িকা।
অনন্তের কথায় চোখে জল বাবা মুকেশ আম্বানির
১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান। সেখানেই একটি আবেগঘন বার্তা রাখেন হবু বর অনন্ত। যা শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। এদিনের স্পিচে অনন্ত আম্বানিকে বলতে শোনা যায়, 'আমার বাবা ও মা সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, এবং ওঁরা আমাকে এটা বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন যে যদি আমি কিছু করার কথা ভাবি তাহলে আমি তা করতে পারব।' চোখে জল নিয়েই হাততালি দিতে দেখা যায় মুকেশ আম্বানিকে। তিনি আরও বলেন, 'আমার কাছে আমার মা ও বাবা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি ওঁদের কাছে সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকব।'
মুকেশ আম্বানির 'রিলায়েন্স' সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ উত্তরসূরি অনন্ত আম্বানি ছোটবেলা থেকে স্থূলতার শিকার। তাঁর মা, অর্থাৎ নিতা আম্বানি একবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে অনন্তের শ্বাসকষ্টের সমস্যাও আছে যার ফলে ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। তাঁর স্পিচে প্রাণপাত করে জামনগরে এই জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য মাকে ধন্যবাদ জানান অনন্ত। তিনি এও জানান এই আয়োজনের জন্য গত ৪ মাস ধরে একটানা দিনে ১৯ ঘণ্টা করে কাজ করেছেন নিতা আম্বানি।