কলকাতা: নগরসভ্যতা যত বাড়ছে, ততই কমে আসছে গাছপালা। তার সঙ্গে কমছে বন ও বন্যপ্রাণীর সংখ্যাও। বন্যপ্রাণীরা একদিকে শিকার হচ্ছে নগরসভ্যতার, অন্যদিকে চোরাশিকার ও পাচারের। এই সমস্যার কথা মনে করিয়ে দিতেই প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস। ৩ মার্চ এই দিনটি পালন করা হয়।
জীববৈচিত্র্য কেন জরুরি বিশ্বে
মানুষসহ অন্য সব প্রাণীদের নিয়ে এই বিশাল বিশ্ব। বিশাল জীববৈচিত্র্য নিয়েই তৈরি হয়েছে পৃথিবী। কিন্তু কেন এটি দরকার তা প্রথমেই বোঝা জরুরি। বিশ্বের প্রতিটি জীবের খাদ্যাভাস আলাদা। বাঁচার ধরন আলাদা। এক উদ্ভিদ বাদে সকলেই কমবেশি পরভোজী জীব। অর্থাৎ খাবারের জন্য অন্য প্রাণী বা উদ্ভিদের উপর নির্ভর করতে হয়। আর এই সবটা মিলিয়েই তৈরি হয়েছে একটি সুস্থ বাস্ততন্ত্র। সেই বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেম বিগড়ে গেলে বিপদে পড়বে মানুষরাও। কারণ মানুষও একইভাবে পরভোজী প্রাণীগোষ্ঠীর মধ্যেই পড়ে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস
ওয়াল্ডলাইফের আন্তর্জাতিক সংস্থার তরফে প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয় ৩ মার্চ। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে দিনটি পড়েছে রবিবার। রাষ্ট্রসংঘের তরফে পালিত এই বিশেষ দিনটিতে শুধু প্রাণী নয়, গাছেদের সংরক্ষণের কথাও বলা হয়। কারণ বন্যপ্রাণ বলতে উদ্ভিদদেরও বোঝানো হয়ে থাকে। প্রাণীকূলের পাশাপাশি মানুষের সভ্যতার উন্নয়নের জেরে তারাও সমস্যায় পড়েছে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসের ভাবনা
প্রতি বছর বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসের জন্য একটি থিম বা ভাবনা নির্বাচন করা হয়। চলতি বছরেও তেমনই একটি থিম নির্বাচন করা হয়েছে। ২০২৪ সালের থিম হল ‘মানুষ ও পৃথিবীকে সংযুক্ত করা - প্রযুক্তির মাধ্যমে বন্য়প্রাণ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া’। ডিজিটালের যুগ এখন। সেইপ্রযুক্তিকেই কাজে লাগানোর কথা ভাবা হয়েছে। প্রযুক্তির সাহায্যে সংরক্ষণ করা গেলে আরও উন্নতমানের সংরক্ষণ করা সম্ভব বলেই বিশ্বাস।
বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবসের ইতিহাস
একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রসংঘে এই প্রস্তাব প্রথম এনেছিল থাইল্যান্ড। আনা হয়েছিল ২০১৩ সালে। ওই বছরই ২০ ডিসেম্বর এই দিনটির জন্য একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ দিনটিকে বিশ্ব বন্যপ্রাণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। প্রসঙ্গত ১৯৭৩ সালে এই দিনেই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেই হিসেবেই বেছে নেওয়া হয় ৩ মার্চকে।
আরও পড়ুন - World Hearing Day 2024: শিশুর বধিরতার আশঙ্কা আগাম জানান দেয় OAE টেস্ট, কখন করাবেন ?