কলকাতা: পর্দায় তিনি সবসময় গম্ভীর, অভিমানী... দমফাটা হাসির চরিত্রে দর্শকের কাছে বেশ অচেনা। অনির্বাণ ভট্টাচার্য্যও (Anirban Bhattacharya) যে অমলিন খুশির রসদ পর্দায় সাজিয়ে দিতে পারেন, তা প্রথম দর্শকেরা জেনেছিলেন 'বিবাহ অভিযান'-এর হাত ধরেই। ফের একবার পর্দায় সেই গণশাকে ফিরিয়ে এনে অনির্বাণ যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন, যে কোনও ভূমিকায় তিনি সমান সাবলীল, স্বচ্ছন্দ্য।
'বিবাহ অভিযান' কী অনির্বাণকেও নিজের কাছে নিজেকে নতুন করে চেনাল? অভিনেতা বলছেন, ' আমার হয়তো এর আগে কোনও দমফাটা হাসির চরিত্রে অভিনয় করা হয়নি, তবে আমার মধ্যে যে হাসি আছে, আমি রামগরুড়ের ছানা নই, বা আমায় পাথরের মতো সিরিয়াস ইমেজ, সবসময় গম্ভীর, রাগ, অভিমান... কেবলমাত্র এগুলো আমি নই। আমার মধ্যে যে যথেষ্ট হাসি আছে, খুনসুটি, বদমাইশি রয়েছে, সেটা আমি তো অন্তত জানতাম। বিবাহ অভিযান হল বলে দর্শকও সেটা জানতে পারলেন। 'আবার বিবাহ অভিযান'-এ আরও একটু বেশি করে জানতে পারবেন দর্শক। আমার মধ্যে যদি হাসি, আনন্দ, দুষ্টুমিটা না থাকলে, যত ভাল অভিনেতাই হই না কেন, এমন চরিত্র কোনও স্কিল দিয়েই পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারব না।'
'আবার বিবাহ অভিযান' কমেডি ঘরানার ছবি। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে হাসির ছবি কতটা জরুরি? অনির্বাণ বলছেন, 'আমার তো মনে হয় আগামী ২-৩ বছর শুধু হাসির ছবিই হোক। মানুষ একটু হাসুক। মাথাটা একটু পরিষ্কার হবি। ঠাণ্ডা থাকবে। কিন্তু তেমন তো আর চাইলেই হবে না! আমি সবসময় হাসির ছবির পক্ষে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে হাসির ছবি তো খুব ঘন ঘন হয় না। তাই হাসির ছবি যদি আর একটু বেশি করে হয়, তাহলে ভাল হবে। কারণ হাসি হচ্ছে এমন একটা জিনিস, সেটার সঙ্গে দর্শক ঠিক কানেক্ট করে নেবেই। তার জন্য খুব বেশি ভাবতে হবে না। খালি একটা ঠিকঠাক হাসির জিনিস বানাতে হবে।'
তাইল্যান্ডে শ্যুটিং, তবে সে জায়গা নাকি মনে ধরনে পর্দার গণশার। অনির্বাণ বলছেন, 'তাইল্যান্ড আমার তেমন ভাল লাগেনি। তার একটা কারণ আমি সি ফুড খাই না। অন্যটা হল, কী ভীষণ গরম। এই প্রথম এটা হল যে কলকাতায় ঠাণ্ডা আর সেখান থেকে এমন একটা জায়গায় গেলাম যেখানে কী ভীষণ গরম। তাইল্যান্ডের একটা জিনিস কেবল ভাল। ডাবের জল আর ফল। কি মিষ্টি....'
আরও পড়ুন: WHO: এখানেই শেষ ভাবলে ভুল হবে, পরবর্তী আতিমারি হবে আরও ভয়ঙ্কর, সতর্ক করল WHO