কলকাতা: 'একেনবাবু'-তে তাঁকে দেখেই সিংহভাগ দর্শক মনে করেছিলেন জটায়ু হিসেবে তাঁকে মানাবে ভালোই। সেই কল্পনাই যখন বাস্তবে রুপান্তরিত হয়ে লালমোহন গাঙ্গুলীর চরিত্রের অফার তাঁর কাছে এল, তখন অনির্বাণ চক্রবর্তীর মনে হয়েছিল 'এই সুযোগ বড় পাওয়া'। এবিপি লাইভের কাছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'দার্জিলিং জমজমাট' সিরিজে কাজ করার গল্প এবিপি লাইভকে শোনালেন অনির্বাণ। 


প্রথমে একেন, তারপরে ফেলুদা, দুটি কাজেরই শ্যুটিং হয়েছে দার্জিলিংয়ে। অনির্বাণের সঙ্গে কী জড়িয়ে যাচ্ছে দার্জিলিং? হাসতে হাসতে অভিনেতা বললেন, 'এটা কিন্তু অনেকেই বলছে। কিন্তু বিষয়টা নেহাতই কাকতালীয়। দার্জিলিং আমার বহুবার ঘোরা একটা খুব প্রিয় জায়গা। ছোটবেলা থেকে অনেকবার গিয়েছি। এবার পর পর দুবার দার্জিলিংয়ে গেলাম শ্যুটিংয়ের কাজে। তাতে অনেকে মজা করে বলছেন আমি ওখানেই থেকে যাব কী না!'


সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন হল? অনির্বাণ বলছেন, 'এটা সৃজিতের সঙ্গে এটা আমার পঞ্চম কাজ। এর আগে আমি ৩টে ফেলুদার গল্পে অভিনয় করেছি। 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি' তে অভিনয় করেছিলাম। 'কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন'-এ অভিনয় করেছি। তারপর 'দার্জিলিং জমজমাট'। এতগুলো কাজ একসঙ্গে করে ওর সঙ্গে একটা খুব ভালো বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একেবারে প্রথম কাজ থোকেই আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। এতে কাজের খুব সুবিধা হয়েছে।'


আরও পড়ুন: Joy Sarkar Exclusive: প্রাইম টাইমে দেখানো হোক বাংলা ছবি, এফএম স্টেশনে বাজুক বাংলা গান, আর্জি জয়ের


অভিযোগ, সৃজিত নাকি শ্যুটিং শেটে বেশ শাসন করেন? হাসতে হাসতে অনির্বাণ বললেন, 'এটা আমি অনেকের কাছ থেকেই শুনেছি। আমার অভিজ্ঞতা দারুণ। বিশেষ করে সৃজিত যখন ফেলুদার শ্যুটিং করে তখন ও নিজে ভীষণ খুশি থাকে। আর তাই শ্যুটিংয়ের সব সমস্যাই হাসিমুখে মেনে নেয়। ও বলে, ফেলুদা আমার খুব পছন্দের। এই কাজটা করার সময় আমি একেবারেই বাচ্চা হয়ে যাই।' 


ফেলুদার ছবিতে অভিনয় করা অনির্বাণের কাছে কতটা ছোটবেলায় ফিরে যাওয়া? অভিনেতা বলছেন, 'ছোটবেলা থেকে আমায় যে যে চরিত্র খুব ছুঁয়ে গিয়েছে তার মধ্যে ফেলুদা একজন। ছোটবেলায় ভাবতাম, আমি যদি তোপসে হতাম আর আমার যদি ফেলুদার মত একটা দাদা থাকত তাহলে আমি তাকে সাহায্য করতাম।'