কলকাতা: অর্জুনের সঙ্গে নিশার বিয়ে ঠিক করে তাঁর ভাই অভিষেক। মত না থাকলেও, এই বিয়েতে রাজি হতেই হয় অর্জুনকে। কারণ, অভিষেক বলেন, এই বিয়েতে অর্জুন যদি রাজি না হয়, তাহলে অভিষেক আত্মহত্যা করবেন। ছেড়ে চলে যাবেন পরিবারের সবাইকে। সেই কথা শুনে আর শান্ত থাকতে পারেন না অর্জুন। বাধ্য হয়ে তাঁকে রাজি হতেই হয় নিশার সঙ্গে এই বিয়েতে। কিন্তু আদৌ কি টিঁকবে অর্জুনের এই বিয়ে? 


অর্জুনের বাড়িতে শুরু হয়ে যায় বিয়ের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবে একেবারেই মন নেই অর্জুনের। অন্যদিকে, মঞ্জু অর্জুনের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বলেন, সে কিছুতেই অর্জুনের সঙ্গে অন্য কারও বিয়ে হতে দেবে না। কিন্তু বিয়ের দিন, মন্ডপে পৌঁছে অর্জুন জানতে পারে, মঞ্জু সেখানে নেই। বরের বেশেই বিব্রত হয়ে পড়ে অর্জুন। তবে কি সত্যি তাঁকে সাত পাকে বাঁধা পড়তে হবে নিশার সঙ্গেই! তবে সেই মুহূর্তে বাধা দেওয়ার পরিস্থিতিতে থাকে না অর্জুন। বিয়ের যাবতীয় নিয়ম চলতে থাকে। 


এরপরে পুরোহিত মন্দিরে ডাকে বধূকে। ঘোমটা দিয়ে বধূ হাজির হন মন্ডপে। কিন্তু ঘোমটা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই অর্জুন দেখতে পান, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মঞ্জু। সে জানতে পেরেছে, তাঁর বাবার মৃত্যুর জন্য দায়ি অর্জুনই। খুনের মামলা এনে, অর্জুনকে গ্রেফতার করায় মঞ্জু। কিন্তু এবার? যে বাবার খুনিকে এতদিন ধরে মঞ্জু খুঁজে আসছে, তাঁর প্রেমিকই তাঁর বাবার খুনি, এ মানতে যে সময় লেগে যায় মঞ্জুর। কিন্তু ভালবাসা নাকি কর্তব্য। কাকে বেছে নেবেন মঞ্জু? সেই উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে। 


এই ধারাবাহিকে মঞ্জুর চরিত্রে অভিনয় করছেন দিয়া বসু (Diya Bose)। অর্জুনের চরিত্রে অভিনয় করছেন, শুভ্রজিৎ সাহা (Subhrojit Saha)। ধারাবাহিকের এই পর্ব নিয়ে মঞ্জু ওরফে দিয়া বলছেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই মঞ্জু ওর বাবার খুনিকে খুঁজছে। কিন্তু শেষে এমনই পরিস্থিতি আসবে, যে ও যে মানুষকে এত বছর ধরে খুঁজছে, যে ওর বাবাকে খুন করেছে.. সে মঞ্জুরই প্রেমিক! এটা ওর কাছে ভীষণ ধাক্কার। যে মানুষটাকে সবসময়ে পাশে চেয়েছে মঞ্জুর চরিত্র, সেই ওর বাবার মৃত্যুর কারণ, এটা ওর কাছে ভীষণ আঘাতের।'


আরও পড়ুন: Bengali Theatre: মেলবোর্নের মাটিতে বাংলার সংস্কৃতিকে ভালবাসতে শেখাচ্ছে নাট্যদল 'ছায়ানট'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।