কলকাতা: রবিবার তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আর সোমবার তাঁকে দেখা গেল একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই। তিনি এলেন... তাঁকে দেখে উচ্ছ্বসিত হলেন জনতা। একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে শোনা গেল তাঁকে নিয়ে প্রশংসা, পাল্টা আবেগে ভরিয়ে দিলেন তিনিও। 'আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম দিদির হাত ধরে... রাজনীতিতে থেকে গেলাম দিদির হাত ধরেই..'। তাঁর বলা এই ২টো লাইনেই হাততালির ঝড় মঞ্চে। দেব (Dev)। আজ তিনি স্পষ্ট করে দিলেন দলকে নিয়ে নিজের বক্তব্যও।


আজ, আরামবাগের প্রশাসনিক সভা থেকে যেমন একদিকে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করলেন, তেমনই বুঝিয়ে দিলেন, ফের একবার ঘাটালের মুখ তিনিই। ঘাটালের মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থে। দেব (Dev)। যাঁর অনুরাগী রয়েছে বিনোদন দুনিয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দুনিয়াতেও, আজ তাঁকে যেন ফের একবার পুরনো ছন্দে দেখল অনুরাগীরা। আর সেখানেই অভিমানের মেঘ সরিয়ে দেবের মুখে শোনা গেল ঢালাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসা। পাল্টা প্রশংসাও পেতেন তিনি নিজে। মুখ্যমন্ত্রী দেবের পাশে দাঁড়িয়ে ফের একবার স্পষ্ট করে দিলেন, 'দিদি' ভাইয়ের পাশেই রয়েছেন। 


আজ মঞ্চে দাঁড়িয়ে দেব বলেন, 'আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম দিদির হাত ধরে... রাজনীতিতে থেকে গেলাম দিদির হাত ধরেই..। আমার দেখা শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেবেছিলাম নির্বাচনে লড়ব না, কিন্তু আমি ঘাটালের মানুষের জন্য আবার ফিরলাম। আমার ১০ বছরের লড়াই আর ঘাটালের মানুষদের ৭০-৭৫ বছরের লড়াই, স্বাধীনতার আগে থেকে যে লড়াই .. তার স্বার্থেই আমি ফের ঘাটাল থেকে লড়ব। সেই লড়াইয়ের নাম ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। আমি জানি না ২০২৪ সালে কে জিতবে কে হারবে। সবটাই মানুষের ভালবাসার ওপর। আমি কেবল এটুকু চাইব, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানটা যেন বাস্তবায়িত হয়। দিদিকে বলব, রাজ্য সরকারের হাত ধরে যেন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানটা হয় এটুকুই আবেদন।'


রবিবার, নিজের সিনেমার ৫০ দিনের সাফল্যে উদযাপনেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন দেব। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, 'আমি খুব স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলাম যে এবার নির্বাচনে লড়ব না। বর্তমানে কেউ তাঁর বান্ধবীর জন্য, কেউ মেয়ের জন্য, কেউ স্ত্রীর জন্য, কেউ অন্য কারও জন্য রাজনীতি লড়ছেন। আমি দিদি-অভিষেক ২ জনকেই বললাম, গত ১০ বছরে এমন কোনও কাজ আমি করিনি যার জন্য দলের বদনাম হয়। সবার দায়িত্ব আমার নয় কিন্তু আমার নিজের দায়িত্বটা নেওয়া উচিত। আমি এও বলেছিলাম যে আমার চলে যাওয়ায় যদি দলের ক্ষতি হয়, তাহলে এবারে আমি দলের হয়ে প্রচারটা করে দেব। প্রত্যেকটা দলে এমন কর্মী থাকেন যাঁরা ২১-এ জুলাই যান, প্রত্যেক সভা মিছিলে যান, পতাকা নিয়ে আসেন, কিন্তু কোনও পদ পান না, সম্মান পান না। যাঁরা পদ পান, তাঁদের টিভিতে দেখেন। দিদিকে বলেছিলাম আমি দলের তেমনই একজন কর্মী হয়ে থাকতে চাই। দলের কাজে আমায় যেভাবে লাগানো যায়, সব করতে আমি রাজি।'


আরও পড়ুন: Rukmini Maitra Exclusive: প্রপোজ করতে ভয় পেত ছেলেরা, 'ম্যাম' ডাক শুনে মনখারাপ হত রুক্মিণীর


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।