Sonu Sood on Twitter: 'আমরা হেরে গিয়েছি, আর আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও', ট্যুইট সোনু সুদের
সাদা কালো ট্যুইট জুড়ে লেখা কেবল কয়েকটি হিসেব। লেখাগুলি কিছুটা এরকম - আজকে প্রয়োজন ছিল ৫৭০ টি বেডের। আমি কেবল ১১২টি বেড জোগাড় করতে পেরেছি।' ট্যুইটটি সোনু সুদের। যিনি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে গৃহবন্দি। কিন্তু তাঁর মধ্যেও থেমে থাকেনি তাঁর মানুষে সাহায্য করা। করোনা পরিস্থিতিতে যখন গোটা দেশের হাসপাতালে টান পড়েছে বেড, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন, চিকিৎসার, তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সোনু।
কলকাতা: সাদা কালো ট্যুইট জুড়ে লেখা কেবল কয়েকটি হিসেব। লেখাগুলি কিছুটা এরকম - আজকে প্রয়োজন ছিল ৫৭০ টি বেডের। আমি কেবল ১১২টি বেড জোগাড় করতে পেরেছি।' ট্যুইটটি সোনু সুদের। যিনি নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে গৃহবন্দি। কিন্তু তাঁর মধ্যেও থেমে থাকেনি তাঁর মানুষে সাহায্য করা। করোনা পরিস্থিতিতে যখন গোটা দেশের হাসপাতালে টান পড়েছে বেড, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন, চিকিৎসার, তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সোনু।
২০২০ সালের করোনা পরিস্থিতির স্মৃতি এখনও তাজা মানুষের মনে। পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ছবিগুলো তুলে ধরত কঠিন, কঠোর বাস্তবটা। সেসময় গোটা দেশের শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে ঝাপিঁয়ে পড়েছিলেন সোনু সুদ। বলিউডে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দিয়েই মাপা হয় তারকাদের যশ, খ্যাতি। কিন্তু কেবল অভিনয়, গ্ল্যামার বা পেশাদারি সাফল্য নয়, মানবিকতা দিয়েও যে অনায়াসে মন জয় করা যায় তা শিখিয়েছিলেন সোনু সুদ। আসমুদ্র হিমাচল যাঁকে চেনে ‘দাবাং’-এর ছেদী সিং’ হিসাবে। তাঁর নিষ্ঠুর চাহনি, পেশিবহুল চেহারা আর খুনে মেজাজ দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দেয়। করোনা আবহে অবশ্য উলটপুরাণ হয়েছিল। পর্দার খলনায়ক সোনু এখন জনতার চোখে ‘মসিহা’। লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁর মহৎ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজে রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। হাতে তুলে দিয়েছেন খাবারের প্যাকেট, জল। তাঁদের বাড়ি পৌঁছনোর জন্য ব্যবস্থা করেছেন অসংখ্য বাস, ট্রেন এমনকি প্লেনেরও। এখানেই থেকে থামেননি তিনি। কারও চিকিৎসার প্রয়োজন তো কারও অর্থের, কর্মসংস্থানের.. যথাসাধ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সোনু।
আজ রাতে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে একটি হিসেব দেন সোনু। সেখানে লেখা, আজকে হাসপাতালের বেডের প্রয়োজন ছিল ৫৭০টা। আমি মাত্র ১১২টি বেডের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। আজ ১৪৭৭ রেমডেসিভির প্রয়োজন ছিল। আমি মাত্র ১৮টা জোগাড় করে দিতে পেরেছি। হ্যাঁ, আমরা হেরে গিয়েছি। আর আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও।
আজই সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাই করোনার টিকা পাবে। কিন্তু টিকা ও ওষুধের ভাঁড়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের। ভয় ধরাচ্ছে করোনা রোগীদের সৎকারের চিত্রগুলিও। সচেতন হওয়া ছাড়া বাঁচবার আর অন্য উপায় নেই।