নয়াদিল্লি: 'কেদারনাথ' (Kedarnath) ছবির হাত ধরে বলিউডে (Bollywood) পা রাখেন সারা আলি খান (Sara Ali Khan)। অভিনেতা বাবা-মা, অভিনেত্রী ঠাকুমা, এমন পরিবার থেকে আসার জন্য প্রায়ই 'নেপোটিজম' (Nepotism) কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাঁকেও। এবিপি নেটওয়ার্কের (ABP Network) Ideas of India-র দ্বিতীয় অধ্যায়ে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করে, অভিনেতা আরও একবার সেই বিতর্কে মুখ খুললেন। সারার মতে অবশ্য, ফিল্ম দুনিয়ার বাইরে থেকে যাঁরা আসেন কাজ করতে তাঁদের সফর অনেক কঠিন হয় তারকা সন্তানদের তুলনায়। 


'নেপোটিজম' বিতর্কে সারা আলি খান


অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরির ক্ষেত্রে বা ব্রেক পেতে তারকা সন্তানদের থেকে বাইরের মানুষদের বেশি কঠিন পরিশ্রম করতে হয় কি না। সারা বলেন, তিনি তাঁর নিজের স্থান সম্পর্কে অবগত। তাঁর মতে, 'যে সমস্ত জিনিস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না সেই সম্পর্কে বেশি ভাবা, চর্চা করা, বা গুরুত্ব দেওয়া একেবারে লাভজনক নয়। এখন আমার মা বাবা কে, সেটা তো আমি বদলাতে পারব না। আমার চেষ্টা এটাই থাকবে যে নিজের অস্তিত্ব যাতে নিজে তৈরি করতে পারি। কিন্তু আমি আমার নামের থেকে পালাতে তো পারব না, এবং আমি পালাতে চাইও না। কিন্তু আমার চেষ্টা এটাই থাকবে যে মানুষ যাতে আমার কাজ পছন্দ করে এবং ফলস্বরূপ তাঁরা যাতে আমাকে স্বতন্ত্রভাবেও চেনে।' তিনি আরও বলেন যে তিনি তাঁর বিশেষাধিকার সম্পর্কে 'কৃতজ্ঞ' এবং 'সচেতন'। সারার কণ্ঠে ইতিবাচক স্বর শোনা গেল। তিনি বলেন, 'মানুষ আমাকে সিম্বা ও কেদারনাথ ছবির পর স্বতন্ত্রভাবে চিনতে শুরু করেছে।'


তিনি আরও বলেন, 'জনতার ভালবাসা সবচেয়ে জরুরি। আমরা যাই করি সেটা দর্শকের জন্য করি। ওঁদের ভালবাসা ছাড়া আমরা কিছুই না। তাই আমার বাবা-মা রোজ এটাই আমাকে মনে করান যে তুমি যাই করো না কেন, আমরা তোমাকে নিয়ে গর্ব করবই। কিন্তু দর্শকের ভালবাসা তোমাকে জয় করতেই হবে।'


 



আরও পড়ুন: Ideas of India 2023: কোন ট্রোলিংয়ে পাত্তা দেওয়া উচিত, কোনটায় নয়, এখন বুঝে গেছি : সারা আলি খান


বলিউডে সারার প্রথম ছবি 'কেদারনাথ'। যেখানে তিনি হিন্দু ব্রাহ্মণ পুরোহিত বাড়ির কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু বাস্তব জীবনে সারা ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তাই এমনি সময়ে তিনি কেদারনাথ দর্শনে গিয়ে ছবি পোস্ট করলে হতে ট্রোলের শিকার। এই ব্যাপারে কী মন্তব্য সারার? কষ্ট হয় এমন কমেন্ট পড়ে? সারার বুদ্ধিদীপ্ত ও পরিষ্কার জবাব, 'কোন ধরনের ট্রোলিংয়ে পাত্তা দেওয়া উচিত, আর কোনটায় নয়, সেটা বুঝে গেছি এখন। যদি আমার জিমের জামাকাপড়, আমার ভাবনা চিন্তায় কারও কোনও মতামত প্রকাশ করতে হয় তাহলে সেসবে আমার সত্যিই কিছু যায় আসে না। কিন্তু যদি আপনি আমার কাজ পছন্দ না করেন, তাহলে আমি চিন্তা করব সেটা নিয়ে। কারণ আমি দর্শকের জন্য কাজ করি। সেটা আমি শুধরে নিতে চেষ্টা করব।'