কলকাতা: ছুটির দিন। তাই জামাইষষ্ঠীতে দিনটায় জমিয়ে উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছিলেন এই জুটি। সকালটা পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন বাঙালি রীতি মেনে, তারপরে দুপুরের ঠিকানা রেস্তোরাঁ। সেখানেই ভুরিভোজ জামাই আদর। এবিপি লাইভকে জামাইষষ্ঠী পালনের গল্পই বললেন টলিপাড়ার জুটি সঙ্গীত তিওয়ারি (Sangit Tiwari) ও সঞ্চারী মণ্ডল (Sanchari Mondal)। 


প্রত্যেক বছর বাড়িতেই সমস্ত আয়োজন করেন সঞ্চারীর মা, তবে এই বছর অসুস্থতার কারণে পেরে ওঠেননি। এই দিনটা নাকি অনেকদিন আগে থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনা চলে সঙ্গীত আর তাঁর শাশুড়ি মায়ের মধ্যে। সঞ্চারী বলছেন, 'আজ সকালে বাড়িতে সমস্ত রীতিনীতি পালন করেছে মা। সঙ্গীতের বাড়িতে এই সমস্ত নিয়ম নেই। জামাইষষ্ঠীর গোটা আয়োজনই ও দারুণ উপভোগ করে। ডায়েট ভুলে চুটিয়ে খাওয়া দাওয়া, মজা সঙ্গে উপহারও। তবে এই বছর বাড়িতে দুপুরে খাওয়ার আয়োজন হয়নি। সবাই মিলে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম। বিকেলে সবাই একসঙ্গে সিনেমা দেখব। সব মিলিয়ে গোটা দিনটা পরিবারের জন্যই।'


আরও পড়ুন: Shahrukh Khan Covid Positive: ফের করোনার থাবা! কার্তিক, ক্যাটরিনার পরে আক্রান্ত শাহরুখও!


 




আনন্দমাখা গলায় গল্প বলার শেষে একটু আফশোস সঞ্চারীর গলায়। বললেন, 'আমার মা খুব খুঁতখুঁতে সঙ্গীতের ব্যাপারে। একটু ভুল হলে আমি আর বাবা বকুনি খাই সবচেয়ে বেশি। আর হ্য়াঁ, প্রতিবার জামাইষষ্ঠীর আয়োজনে আমিও সাহায্য করে তাতে স্বীকৃতি দেয় না কেউ।' এতে অবশ্য কুছ পরোয়া নেই অভিনেত্রীর। ডায়েট ভুলে খাওয়া দাওয়া আর উপহারেই খুশি তিনি। 




এই বছর জামাইয়ের পাতে কী কী পড়ল? সঞ্চারী জানাচ্ছেন, সরু চালের ভাত থেকে শুরু করে পোলাও, লুচি, পটলের দোলমা, পাঁচ রকমের ভাজা, পোস্তর বড়া, ভেটকি পাতুরি, ইলিশ মাছ, চিংড়ির মালাইকারি, তেল কই, খাসির মাংস। মিষ্টিমুখে চাটনি, হরেক রকমের মিষ্টি, আমের শরবত আর আইসক্রিম।




'ইসমার্ট জোড়ি' -শো এর পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন সঙ্গীত। অন্যদিকে ধারাবাহিক 'গাঁটছড়া' তে অভিনয় করছিলেন সঞ্চারী। তবে সদ্য সেই কাজ থেকে সরে এসেছেন তিনি।