নয়াদিল্লি: অভিনেতা (actor) ও 'স্বঘোষিত' ফিল্ম ক্রিটিক ('Self-Claimed' Film Critic) কমল রশিদ খান (Kamaal Rashid Khan) ফিরলেন ট্যুইটারে। জামিন পেয়ে ফিরলেন ট্যুইটারে (Twitter)। 'বদলা' (vengeance) নেওয়ার বার্তা দিলেন সোশ্যাল সাইটে।
পেলেন জামিন, ফিরলেন ট্যুইটারে
বিতর্কিত ট্যুইট মামলায় মুম্বই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় কমল আর খান ওরফে কেআরকে-কে। তবে দিন কয়েক আগে শ্লীলতাহানির মামলায় জামিন পেয়ে গেছেন তিনি। রবিবার সেই ট্যুইটারেই ফেরত এলেন তিনি। কেবল ঘোষণা করলেন, 'আমি আমার প্রতিশোধের জন্য ফিরে এসেছি'।
প্রসঙ্গত, কমল আর খানকে তাঁর করা দুটি পুরনো ট্যুইটের কারণে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, ২০২০ সালে ইরফান খান (Irrfan Khan) ও ঋষি কপূরকে (Rishi Kapoor) নিয়ে করা কেআরকে-র ট্যুইটের বিরুদ্ধে যুব সেনা সদস্য রাহুল কনল (Rahul Kanal) মালাড পুলিশ স্টেশনে কমল আর খানের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ২০২১ সালের শ্লীলতাহানির মামলায় জামিন পেয়েছেন কমল আর খান, তবে ট্যুইটকাণ্ডের মামলায় এখনও জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। বিতর্কিত ট্যুইটের জন্যই বিশেষ খ্যাত কেআরকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত দুই অভিনেতা ইরফান ও ঋষি কপূরকে আক্রমণ করে করা কেআরকে-র ট্যুইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করা হয়। ২০২০ সালেই এফআইআরও দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মামলাকারী যুব সেনা নেতা রাহুল কনল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৪, ৫০০, ৫০১, ৫০৫, ৬৭, ৯৮ ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, গোটা ঘটনায় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাজনীতিক, অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্হা। বেশ কয়েকদিন আগে শত্রুঘ্ন সিন্হা একের পর এক ট্যুইটে উল্লেখ করেন কেআরকে একজন 'স্ব-নির্মিত মানুষ'। যদিও শত্রুঘ্ন সিন্হার এহেন ট্যুইটে হতচকিত নেটিজেনরা, কারণ তাঁর মেয়ে অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিন্হা সম্পর্কেও আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কমল আর খান। শত্রুঘ্ন সিন্হা লেখেন, 'কারও কমল রশিদ খানকে ভুলে যাওয়া উচিত নয় এবং সর্বদা মনে রাখা উচিত যে প্রচণ্ড বিরোধিতা এবং সংগ্রাম সত্ত্বেও 'কেআরকে' একজন স্ব-নির্মিত মানুষ, তাঁর কাছে সর্বশক্তিমানের আশীর্বাদ রয়েছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সে নিজের স্থান তৈরি করেছে এবং সমাজেও নিজের স্থান তৈরি করেছে।''