কলকাতা: বাবা- মা দুজনেই পরিচালক - অভিনেতা। জন্ম থেকেই তাঁর যোগ রূপোলি পর্দার সঙ্গে। কিন্তু তাই বলে বড়পর্দায় আসার লড়াইটা সহজ ছিল না তাঁর জন্যও। কারণ? বাবা-মা কখনও বিশেষ পরিকল্পনা করেননি ছেলেকে নিয়ে। নতুন ছবি 'কাবেরী অন্তর্ধান' (Kaberi Antardhaan) নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ছেলে উজানকে নিয়ে অকপট অভিনেতা পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় (Kaushik Ganguly)।                                                                                                                                                                     


ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির পরিচালক, অভিনেতা, কিন্তু কৌশিক চান, ছেলে বড় হোক লড়াই করে। অভিনেতা বলছেন, 'আমি চাই উজান লড়াই করেই বড় হোক। জীবনটা কখনও সহজ সরল নয়। আমি আর চূর্ণী কখনও ওকে সিনেমায় যাওয়ার জন্য জোর করিনি। উজান আগে অন্য পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছে। তারপরে 'লক্ষ্মী ছেলে' করেছে। তার পরে বছর ২ কেটে গিয়েছে। ওর কোনও তাড়া নেই। এরপরে আবার নতুন ছবির কাজ পেলে, পছন্দ হলে উজান কাজ করবে। ছেলে আছে বলে ওর জন্য আলাদা করে পরিকল্পনা করব, প্রোমোট করব, এমন পরিবার আমাদের নয়। ও নিজের মতো করে দাঁড়াবে, ধাক্কা খাবে, সেটা থেকেই শিক্ষা নেবে। আমি যদি আমার অভিজ্ঞতা থেকে ওকে শিক্ষা দিতে চাই তাহলে ভুল হয়ে যাবে। আমরা ওকে শিক্ষা দিই, সাহস দিই কী ভাবে সেটা থেকে সামলে উঠবে। কিছু ধাক্কা না খেলে ও তৈরি হবে না। লোহা লাল হয়ে গেলে তাকে পিটিয়েই বিভিন্ন জিনিস বানানো হয়। এটাই তো ওর বয়স। মার খেয়ে খেয়ে শিখে যাবে ঠিক।'                                                                                                                                       


আরও পড়ুন: Prosenjit Chatterjee Exclusive: সন্ধে হলেই গুলি, বোমার আওয়াজ, স্কুল ছাড়িয়ে বাড়ি বদল করতে বাধ্য হয়ছিলেন মা: প্রসেনজিৎ


যখন কাজ শুরু করেছিলেন কৌশিক, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা ছিল না মোটেই। বর্তমানে ছবির প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এই পরিবর্তনকে কীভাবে দেখেন পরিচালক অভিনেতা? কৌশিক বলছেন, 'আমি ছবির প্রচার ছাড়া তেমন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি না। পরিবারের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করি মাত্র। রাজনৈতিক বা সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত প্রকাশ করি না। আমার মনে হয় সমস্ত মানুষই জানেন কোথায় কী হচ্ছে। আমার কাজ বিনোদন জগত নিয়ে। আমি চিরকার নিজের কাজের প্রতি সৎ থেকেছি। আমি কেবল জানি আমার কাজ, ছবি যেন একঘেয়ে না হয়ে যায়। নদী যেমন করে গতিপথ বদলায়, তেমন করেই যেন আমি আমার ছবির বিষয় বদলে বদলে এগিয়ে যেতে পারি।'