নয়াদিল্লি: 'ভারতরত্ন' লতা মঙ্গেশকরের (Bharat Ratna Lata Mangeshkar) প্রয়াণের পর, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান (Bharat Ratna Lata Mangeshkar), সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ভোপালে (Bhopal) বৃক্ষ রোপণ করে কিংবদন্তি গায়িকাকে শ্রদ্ধা জানান। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন লতা মঙ্গেশকরের জন্মস্থান ইন্দৌরে একটি সঙ্গীত অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেন, 'লতা জি ইন্দৌরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই ওঁর স্মৃতিতে সেখানে একটি সঙ্গীত অ্যাকাডেমি, একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। তাঁর একটি মূর্তিও প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া প্রত্যেক বছর তাঁর জন্মবার্ষিকীতে 'লতা মঙ্গেশকর পুরস্কার' দেওয়া হবে।'
অন্যদিকে সাংসদ শঙ্কর লালওয়ানি বলেন কিংবদন্তি গায়িকার জন্মস্থানটি তাঁর নামে নামকরণ করা হবে এবং রাস্তাটিকে ইন্দৌরের 'লতা মঙ্গেশকর মার্গ' বলা হবে।
লতা ছিলেন পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর এবং সেবন্তি মঙ্গেশকরের কন্যা। তিনি ছোট থেকেই সঙ্গীতের আবহেই বড় হতে থাকেন কারণ তাঁর বাবা একজন সুপরিচিত মরাঠি সঙ্গীতশিল্পী এবং থিয়েটার শিল্পী ছিলেন। বাবাই ছিলেন তাঁর প্রথম গৃহশিক্ষক। এরপরে লতা তাঁর বাবার বেশ কয়েকটি নাটকে শিশু শিল্পী হিসেবে আবির্ভূত হন।
মরাঠি ছবি 'গাজাভাউ'-এর জন্য "মাতা এক সপুত কি দুনিয়া বদল দে তু" গান মুক্তি পায় ১৯৪৩ সালে। এটিই লতা মঙ্গেশকরের প্রথম হিন্দি রেকর্ড করা গান। পরে, তিনি অনিল বিশ্বাস, শঙ্কর জয়কিশান, নওশাদ আলি এবং এসডি বর্মন সহ হিন্দি সঙ্গীত জগতের অজস্র জনপ্রিয় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেন।
তিনি হিন্দি, বাংলা, মরাঠি এবং অন্যান্য কিছু আঞ্চলিক ভাষা সহ বিভিন্ন ভাষায় গান রেকর্ড করেছেন। তিনি 'দাদাসাহেব ফালকে' পুরস্কার, 'ভারতরত্ন', 'পদ্মবিভূষণ', এবং 'পদ্মভূষণ'-এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন।