কলকাতা: ছোটবেলায় মায়ের খুব শাসন ছিল। পরিবারের কঠিন সময় যখন চলছিল, মা শক্ত হয়ে বলেছিলেন, তাঁর আর তাঁর দিদির পড়াশোনার সঙ্গে যেন কোনওরকম আপোশ না করা হয়। দুজনের ভালো স্কুলে পড়া চাইই চাই। বড় হয়ে যখন রুপোলি পর্দায় পা রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন, মেনে নিতে পারেননি মা। কলকাতায় চলে আসেন তিনি। অনেকটা সময় লেগেছিল বাড়ির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে। ছোটবেলার সেই গল্প, মায়ের গল্প, মাতৃদিবসে এবিপি লাইভকে শোনালেন অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। 


জলপাইগুড়ির মিমি থেকে অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, এই সফরে কতটা জড়িয়ে রয়েছেন মা? মিমি বলছেন, 'আজ পড়াশোনাটা শিখতে পেরেছি মায়ের জন্য। একটা সময় খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল পরিবার। সেইসময় মা জেদ করে বলেছিলেন, আমার আর দিদিভাইয়ের পড়াশোনার সঙ্গে যেন কোনওরকম আপোশ না করা হয়। দুজনের ভালো স্কুলে পড়া চাইই চাই। তারপরবড় হয়ে যখন রুপোলি পর্দায় পা রাখার সিদ্ধান্ত নিলাম, প্রথমটা মেনে নেননি মা। বেশ অনেকটা সময় লেগেছে। পাঁচ-ছয় বছর আগে পর্যন্ত মা বেশ কড়া ছিলেন। এখনও যদি মা আমার কলকাতার বাড়িতে এসে থাকেন আর আমার ফিরতে রাত ১১টা ১২টা হয়ে যায়, মা ফোন করেন। শ্যুটিংয়ে থাকলে আমার সহকর্মীদের ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন, আমি খেয়েছি কি না.. মেসেজ করে সময়ে খেয়ে নিতে বলে। ওটাই মা.. ওইটুকু শাসন না থাকলে মিস করি।'


আরও পড়ুন: Mother's Day Exclusive: প্রথম ছবির শ্যুটিং যেদিন শুরু হবে, সেদিন জানলাম মায়ের ক্যান্সার: নন্দিতা রায়


সদ্য মুক্তি পেয়েছে মিমির নতুন ছবি 'মিনি'। গল্পে এক চাকুরিজীবী মেয়ের ওপর দায়িত্ব পড়ে তার একরত্তি বোনঝিকে সামলানোর। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যদি মিমি নিজে পড়েন? অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি বিশ্বাস করি, আমি খুব নিয়মমাফিক একটা জীবন কাটাই। আর আমার সবকিছু সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে। ইতিমধ্যেই আমার বাড়িতে চারপেয়ে বাচ্চারা রয়েছে যাদের আমি সামলাই। তবে হ্যাঁ, একজন মানবশিশুকে মা হিসেবে সামলানো সম্পূর্ণ আলাদা। মাতৃত্ব মাতৃত্বই। আমার মনে হয়, আমি একজন খুব ভালো মা হব।'