Ananya Pandey : আরিয়ানের সঙ্গে চ্যাটের সূত্র ধরে অনন্যা পাণ্ডের বাড়িতে এনসিবি, তারপর সোজা মান্নতে
অনন্যা পাণ্ডের বান্দ্রার বাড়িতে ৫ ঘণ্টা থাকে এনসিবি
মুম্বই : মাদককাণ্ডে আরিয়ানের চ্যাটের সূত্র ধরে আরও এক অভিনেত্রীর বাড়িতে পৌঁছায় এনসিবি। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা পাণ্ডের বান্দ্রার বাড়িতে ৫ ঘণ্টা ছিলেন তাঁরা। ৬ সদস্যের একটি টিম তাঁর বাড়ি থেকে কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যান। তারপর তারা সোজা চলে যান মান্নতে। এনসিবি আধিকারিকরা অনন্যার বাড়িতে ৪-৫ ঘণ্টা থাকেন। এনসিবি আধিকারিক বি বি সিংহর নেতৃত্বে অনন্যার বাড়িতে আসে টিম। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টোয় এনসিবি দফতরে ডাকা হয়েছে তাঁকে।
মাদককাণ্ডে জেলবন্দি ছেলের সঙ্গে ১৯ দিন পর আজই দেখা করতে যান শাহরুখ খান। এদিন সকালে ছোট গাড়িতে, কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে আর্থার রোড জেলে যান তিনি। নিয়ম মেনে জেলে ছিলেন মিনিট পনেরো-কুড়ি। জেল সুপারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলে ঢোকার আগে নিয়ম মেনে নিজের আধার কার্ড সমেত সব নথি দেখিয়েছেন শাহরুখ। কথাবার্তার সময় কাচের দেওয়ালের ওপারে ছিলেন আরিয়ান। ঘরে হাজির ছিলেন জেলের চার নিরাপত্তা রক্ষী। করোনার জেরে এতদিন জেলবন্দিদের সঙ্গে আত্মীয় পরিজনেদের দেখা সাক্ষাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল মহারাষ্ট্র সরকারের। আজই সেই নিয়ম শিথিল করা হয়েছে।
উঠতি নায়িকার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে মাদক নিয়ে কথা হত শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানের, শাহরুখ-পুত্রের জামিনের বিরোধিতা করে বুধবার আদালতে এমনই দাবি করল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। আর এরইসঙ্গে ফের একবার খারিজ হয়ে গেল আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন। বিশেষ NDPS আদালতে ছ’দিনের মধ্যে দু’বার খারিজ হল শাহরুখ-পুত্রের জামিনের আর্জি। এর আগে ১৪ অক্টোবর আরিয়ানের জামিন খারিজ করে আদালত।৮ অক্টোবর মুম্বইয়ের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আরিয়ান খান, তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন খরিজ করে। তার পর থেকেই জেলে রয়েছেন শাহরুখ-পুত্র। ২ অক্টোবর, ক্রুজ কর্ডেলিয়া মাদককাণ্ডে আরিয়ান খান-সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। তাদের দাবি, আরিয়ানের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চ্যাটে ছিলেন অনেক সেলেব-সন্তান।
এই ঘটনায় NCB এখনও পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন নাইজেরিয়ার বাসিন্দা। বুধবার , এদিন আদালতে, উঠতি নায়িকার সঙ্গে মাদক নিয়ে আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। এই বিষয়ে তাঁদের কাছে প্রচুর তথ্য রয়েছে বলেও আদালতে দাবি করে NCB। এরপরই, আরিয়ানের জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। বিশেষ NDPS আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে।