কলকাতা: ৩০ বছর ধরে টিঁকে থাকার লড়াই.. সবুজ থাকার লড়াই। প্রত্যেকবারই জয়ী হয়েছেন তিনি। কিন্তু খুব মসৃণ ছিল কি সেই পথটা? ওঠাপড়া এসেছে.. কিন্তু তিনি নাকি কখনও লোভ করতে পারননি। গোটা জীবন ধরে যাপন করে এসেছেন এই ভাবনাই.. 'লোভ করা যাবে না'। কিন্তু এই কথা বলা যতটা সহজ, বজায় রাখা কী কঠিন নয়? প্রতিবাদ করার আগে, কখনও কি তার ফলাফল নিয়ে ভাবেন তিনি? এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, নিজের জীবনধারার কথা অকপটে বললেন নচিকেতা চক্রবর্তী (Nachiketa Chakraborty)।
নচিকেতাকে নিয়ে অনুরাগীদের যে আবেগ রয়েছে, তা যেন অনেকাংশে দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয় শিল্পী। নচিকেতা বলছেন, 'অনেকে আমায় গুরু বলেন। অনেক ছেলে আমায় বলে, তারা নাকি আমার মতো হতে চায়। কোনও মা যখন মাথায় হাত দিয়ে আমায় বলেন, পরের জন্মে আমি যেন তাঁদের ছেলে হই। এই জায়গাটা পেতে আমায় ৩০ বছর পরিশ্রম করতে হয়েছে। নির্লোভ থাকতে হয়েছে। আমার প্রয়োজনকে সবসময় কমিয়ে রাখতে হয়েছে। ইচ্ছা কী হয় না! আমিও মানুষ, আমারও হয়। কিন্তু মানুষের ভালবাসার কথা মনে পড়লে বুঝি, কী গুরুদায়িত্ব রয়েছে। এমনিই তো আমায় সবসময় প্রতিষ্ঠান বিরোধী কিছু না কিছু বলতে হয়। বলতে হয় নয়, আমি বলিই। সেটাই আমার চরিত্র। চুপ করে বসে থাকতে পারি না আমি।'
এখানেই থামলেন না নচিকেতা। বলে চললেন, 'আমি কখনও ফলাফল ভেবে প্রতিবাদ করি না। আমার বাড়ির লোকেরাও সেটা নিয়ে বকাবকি করে আমায়। বলে, 'তোমার বয়স বাড়ছে.. কিন্তু এখনও এমন কথা বলো, যেটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।' ওই সোশ্যাল মিডিয়া বলে একটা জিনিস হয়েছে এখন, সেখানে তো আমায় কুকথা বলা হয় প্রচুর। একদিকে যেমন ভালবাসা থাকে, তেমন কুকথার তোড়ও কিছু কম নয়। জ্বালিয়ে খায়। কে নিজে যেচে কুকথা শুনতে চায়? কিন্তু আমি চাই। চাই বললেন ভুল হবে, আসলে আমি এমন এমন কাজ করে ফেলি, যার জন্য আমায় কুকথা হজম করতে হয়। তবে আমার নিজের মধ্যে একটা প্রতিবাদী সত্ত্বা রয়েছে। তাকে আমি কোনও মূল্যেই দমাতে পারব না। সে মরে গেলে সব শেষ। আমি ভেজিটেবল হয়ে যাব।'
আরও পড়ুন: Nachiketa Exclusive: ‘আমি ট্রেন্ডসেটার, সবসময় সমাজকে থাপ্পড় মারছি’, জন্মদিনে নচিকেতা