মুম্বই: অভিযোগ। পাল্টা অভিযোগের পালা লেগেই রয়েছে বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি (Nawazuddin Siddiqui) এবং তাঁর স্ত্রী আলিয়ার মধ্যে। কখনও অভিনেতা কিংবা তাঁর পরিবার বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের করছেন। কখনও আবার আলিয়া তাঁর অভিনেতা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন আর চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন। আইনি পর্যাতেও পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা। আর এবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির স্ত্রী। সঙ্গে পোস্ট করলেন বেশ কিছু ছবিও। যেখানে দুজনের মধ্যের তিক্ত কথোপকথন সামনে এসেছে।
নওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে মুখ খুলে ভিডিও প্রকাশ করলেন আলিয়া-
সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি ভিডিও এবং বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির স্ত্রী আলিয়া। যেখানে পরিস্কার অভিনেতার সঙ্গে তাঁর তিক্ত কথোপকথন। সঙ্গে লিখেছেন, 'আমি আমার জীবনের ১৮ বছর এমন একজন মানুষকে দিয়েছি, যার চোখে আমার কোনও মূল্যই নেই। আর তার জন্য এখন আমি আফশোস করি।' এরই সঙ্গে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়া থেকে লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকার থেকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া সমস্ত কিছুই তুলে ধরেছেন। অভিনেতা তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা, প্রাক্তন স্ত্রী এবং সন্তানদেরও কখনও মূল্য দেননি বলে অভিযোগ তাঁর।
" data-captioned data-default-framing width="400" height="400" layout="responsive">
আরও পড়ুন - Sidharth Kiara Wedding: দিল্লির রিসেপশনে নো-মেকআপ লুকেই মুগ্ধ করলেন কিয়ারা
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির আইনজীবী একটি বিবৃতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। সম্প্রতি বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির আইনজীবী নাদিম সাফর জইদি একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন দিল্লিতে। সেখানে তিনি অভিনেতা এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে চলা মামলা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, '২০০১ সালে আলিয়া ওরফে অঞ্জলি কুমারী, যিনি অষ্টম শ্রেণী ফেল, বিবাহ করেন বিনয় ভার্গব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। এরপর তিনি মুম্বই চলে আসেন। আর মুম্বই এসে কখনও অঞ্জনা পাণ্ডে হয়ে যান। ২০১০ সালে তিনি অঞ্জনা আনন্দ হয়ে যান। এরপর তিনি ইসলাম ধর্মে নিজেকে বদলান এবং নাম বদলে জাইনাব হয়ে যান। এরপর তিনি অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে বিয়ে করেন। এবং ২০১১ সালে দুজনের সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। কিন্তু যেই নওয়াজউদ্দিনের কেরিয়ার রকেটের গতিতে উঠতে শুরু করে, তখন ফের তিনি আলিয়া হয়ে ফিরে আসেন। ২০২০ সালে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠান, যার কোনও ভিত্তিই নেই। কারণ, দুজনে আগেই আলাদা হয়ে গিয়েছেন।' অভিনেতার আইনজীবীর পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, আলিয়া তাঁর মিথ্যে জন্ম তারিখ জানিয়েছিল। তাই তাঁর মার্কশিট এবং পাসপোর্টের সঙ্গে কোনও মিল নেই। তিনি বলছেন, '২০০৮ - ২০০৯ সাল নাগাদ রাহুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে লভ ম্যারেজ হয় অঞ্জনার। তাঁরা মুম্বইয়ের গুরুগ্রামে একসঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। কিন্তু অঞ্জনার স্বপ্ন অনেক বড় ছিল। তাই তাঁরা একটি গ্যাং তৈরি করেন। যে গ্যাংয়ে অঞ্জনার বোন অর্চনা পাণ্ডেও ছিলেন। নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য মুম্বইতে থাকতেন অঞ্জনা। আর জবলপুরে তাঁর প্রথম স্বামী বিয়ে করেন অঞ্জনার বোনকে। অর্চনা তখনও তাঁর প্রথম স্বামী রাজকুমার শুক্লরই স্ত্রী ছিলেন আইনতভাবে। তাঁদের মধ্যে কোনও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। বিনয় ভার্গব অঞ্জনাকে নিজের স্ত্রীর পরিচয় দিয়েছেন রেলওয়ের কাছে। যা পরবর্তীকালে তদন্তের সময়ে দেখা যায়। ওঁরা তিনজন রেলওয়ে ডিপার্টমেন্টকে ভুয়ো তথ্য দিয়ে ফায়দা তুলেছে। প্রতারণা করেছে। রেলের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে।'