Pallavi Dey Death: 'সাগ্নিকের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, সমস্যা থাকলে পল্লবী সম্পর্কে ছিল কেন?' এবিপি আনন্দে বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলা

Pallavi Dey Death: অভিনেত্রী পল্লবী দে-র (Pallavi Dey)-র মৃত্যু ঘিরে যেন ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী ও পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার

Continues below advertisement

কলকাতা: গলা অল্প ধরা, যেন কান্নাকাটি করেছেন। ঈষৎ বিস্ময় মেখে তাঁর মুখে ঘুরে আসছে কেবল একটাই প্রশ্ন, 'পল্লবীর তো বন্ধুর অভাব ছিল না। তাহলে আমার নামটাই কেন নিলেন ওঁর বাবা-মা?' এবিপি আনন্দকে দেওয়া টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নই প্রথম করলেন ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায় (Oindrila Mukherjee)। যাঁর বিরুদ্ধে পল্লবী দে (Pallavi Dey)-কে খুন করার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

Continues below advertisement

অভিনেত্রী পল্লবী দে-র (Pallavi Dey)-র মৃত্যু ঘিরে যেন ক্রমশই ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তী ও পল্লবীর বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এবিপি আনন্দর তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। টেলিফোনে তিনি বলেন, 'পল্লবীর তো বন্ধুর অভাব ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঁর এত বন্ধু, পাড়া, ধারাবাহিকের এত বন্ধু, তাহলে আমার নামটাই কেন নিলেন ওঁর বাবা-মা? সমস্যা থাকলে পল্লবীই বা কেন সম্পর্কটায় ছিল দিনের পর দিন? এতদিন ওঁর বাবা-মাই বা কেন অভিযোগ করেননি আমার নামে? সাগ্নিকের সঙ্গে সত্যিই আমার কোনও সম্পর্ক নেই। পল্লবীর সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল। আগের মতো হয়তো ওঠাবসা নেই, সেটা ব্যস্ততার জন্য। সাগ্নিকের সঙ্গে আমার আলাপ বন্ধুদের দল থেকে।'

পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, ' পল্লবী সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু সেই ঘরে সিলিং অবধি পৌঁছনোর মতো কোনও চেয়ার, টেবিল বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। তবে নিজের গলায় নিজে ফাঁস দেওয়ার জন্য কি করে সিলিং অবধি পৌঁছলেন পল্লবী? তাঁকে মৃত্যুর পরে প্রথম দেখে তাঁর লিভ ইন পার্টনারই। মৃতদেহ নামানোর পর পল্লবীরই ফোন থেকে তাঁর মা-কে ফোন করেন সাগ্নিক। সেই ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, পল্লবী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে।'

আরও পড়ুন: Vicky Kaushal Birthday: ছবি পিছু কত টাকা পারিশ্রমিক নেন ভিকি কৌশল?

পল্লবীর পরিবারের আইনজীবী বলছেন, 'পল্লবী সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন, কিন্তু সেই ঘরে সিলিং অবধি পৌঁছনোর মতো কোনও চেয়ার, টেবিল বা অন্যান্য সামগ্রী ছিল না। তবে নিজের গলায় নিজে ফাঁস দেওয়ার জন্য কি করে সিলিং অবধি পৌঁছলেন পল্লবী? তাঁকে মৃত্যুর পরে প্রথম দেখে সাগ্নিক। মৃতদেহ নামানোর পর পল্লবীরই ফোন থেকে তাঁর মা-কে ফোন করেন সাগ্নিক। সেই ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, পল্লবী অচৈতন্য হয়ে গিয়েছে ও তাঁর কোলে শুয়ে আছে। এই মিথ্যাচার কেন? কিছু আর্থিক প্রতারণার খোঁজও পাওয়া গিয়েছে। আর সাগ্নিকের একটি অন্য সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল। পল্লবীর অনুপস্থিতিতে সে পল্লবীরই ফ্ল্যাটে আসত।'

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola