কলকাতা: বাগদান শেষ, শেষ উৎসবও। এবার কাজে ফেরার পালা। দিল্লি থেকে মায়ানগরীতে ফিরলেন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)। কিন্তু মায়া ফেলে এলেন দিল্লিতেই! সোশ্যাল মিডিয়ায় বিমানে করে উড়ে যাওয়ার ছবি পোস্ট করে পরিণীতি স্টেটাসে লিখলেন, 'চললাম দিল্লি, মনটা এখানেই ফেলে রেখে যাচ্ছি।'


বাগদানের খবর, প্রেমের খবর প্রকাশ্যে আসার পরে ভালবাসা নিয়ে আর রাখঢাক করেননি রাঘব চড্ডা (Raghav Chadha) ও পরিণীতি চোপড়া (Parineeti Chopra)। ১৩ মে দিল্লিতে আংটিবদল সারেন বলিউড অভিনেত্রী ও আপ সাংসদ। তাঁদের প্রেমের জল্পনা ছিলই। তবে বাগদান হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলেননি পরিণীতি ও রাঘব। 


গত কয়েক মাস ধরেই খবরের শিরোনামে রয়েছে আম আদমি পার্টি নেতা রাঘব চাড্ডা ও বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা তৈরি হলেও কখনওই নিজেরা কোনও কথা বলেননি তাঁরা। তবে শোনা গিয়েছিল ১৩ মে বাগদান পর্ব সারবেন তাঁরা। ঠিক হলও তেমনই। 


দিল্লির কপূরথালা হাউজে পরিবারের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে একে অপরের আঙুলে আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন পরিণীতি ও রাঘব। নিজেরা পোস্টও করেন ছবি। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় অনুষ্ঠানের বেশ কিছু ভিডিও। খুব স্বাভাবিকভাবেই তা মানুষের নজর কাড়ে। গানের তালে জুটিকে নাচতে দেখা যায়, আর সবশেষে নজর কাড়ে অভিনেত্রীর গালে রাজনীতিকের ভালবাসার চুম্বন।


সম্প্রতি বারবার তাঁদের একসঙ্গে নানা জায়গায় দেখা গিয়েছে। কখনও কোনও রেস্তোরাঁয় তো কখনও আইপিএল দেখতে মাঠে। আর কথাতেই বলে 'যা রটে তার কিছু তো বটেই'। ফলে নিজেরা স্বীকার না করলেও অনুরাগীরা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিলেন যে একে অপরের প্রেমে বুঁদ হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চাড্ডা। দিন দুই-তিন আগেই একসঙ্গে দিল্লি পাড়ি দেন অভিনেত্রী ও রাজনীতিক। এরপর পরিবারের লোকজনও পৌঁছতে শুরু করেন সেখানে। শনিবার সকালে বিমানবন্দরে ক্যামেরাবন্দি হন, অভিনেত্রী ও কনের দিদি প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও। এদিন বর ও কনের পরনে ছিল আইভরি রঙের পোশাক। বলাই বাহুল্য দু'জনের সাজই ছিল মনমুগ্ধকর, স্নিগ্ধ।


এখনও প্রকাশ্যে আসেনি রাঘব ও পরিণীতির বিয়ের দিন। আর তাই, বাগদান পর্ব শেষ হওয়ার পরে যে যার শহরে ফিরেছেন রাঘব ও পরিণীতি। আসা যাওয়া থাকলেও, রাঘবকে সবসময় না দেখতে পাওয়ার মনখারাপ যে ছুঁয়ে থাকবে পরিণীতিকে, সেই প্রমাণই যেন পাওয়া গেল তাঁর স্টেটাসে। 


আরও পড়ুন:- WHO: নিজের অজান্তেই ডেকে আনছি রোগ! মিষ্টির বিকল্প বলে যা কিনছি, তা আরও বিপজ্জনক, দাবি WHO-র


আরও পড়ুন:-Car Number Plates: লাল-নীল, হলুদ-সবুজ, হরেক রংয়ের সম্ভার, গাড়ির নম্বর প্লেট দেখে বোঝা সম্ভব অনেক কিছুই