কলকাতা: তাঁদের পরিচিতি একেবারে নতুন প্রজন্মের মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়া। ইউটিউব চ্যানেল থেকেই প্রথম পরিচিতি পাওয়া শুরু তাঁদের। আর সেই পরিচিতিই এনে দিল, বড় সুযোগ। আধুনিক থেকে শুরু করে আঞ্চলিক, ধ্রুপদী.. সমস্ত নাচের ছন্দেই যাঁর অবাধ যাতায়াত, তিনিই এবার একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলে 'মহিষাসুরমর্দিনী' অনুষ্ঠানের মুখ! পায়েল বসাক ও দ্বৈপায়ন চৌধুরী ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় মুখ। তাঁদের ময়ূরের মতো নাচের ছন্দে যেন নেশা লাগে দর্শকদের চোখে। আর সেই পায়েলই এবার 'সান বাংলা'-র দুর্গা! কী করে সুযোগ এল এই চরিত্রে অভিনয়ের? নিজেকে দুর্গা হিসেবে দেখে কেমন লাগছিল নৃত্যশিল্পীর? পায়েলের দুর্গা হয়ে ওঠার গল্প, শুনল একমাত্র এবিপি লাইভ বাংলা (ABP Live Bangla)।
এর আগে 'দাদাগিরি' বা 'সারেগামা'-র মতো অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেছেন পায়েল। কিন্তু টিভির পর্দায় চরিত্র হয়ে ওঠার সুযোগ হয়ে ওঠেনি কখনও। তাহলে কীভাবে এল এই সুযোগ? পায়েল বলছেন, 'আমার এবং দ্বৈপায়নের ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। মহালয়ার আগে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম, একটা মহিষাসুরমর্দিনীর অনুষ্ঠান আয়োজন করার। আমাদের কাজ যখন এগোচ্ছে, কয়েকটা প্রোমো বেরিয়েছে। তখনই চ্যানেলের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় আমাদের সঙ্গে। শুনেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম বটে, কিন্তু এটা ছিল আমার কাছে একটা বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ। যাঁর কাছে আমরা বিপদে পড়ে ছুটে যাই, সেই চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা সহজ নয়। তাও আবার পর্দায়। আমি নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি। যখন দুর্গার সাজে শ্যুটিং করছিলাম, মনে হচ্ছিল আমি আর পায়েল নেই.. ওই শক্তিরই একটা অংশ হয়ে উঠেছি। এ এক অদ্ভূত অভিজ্ঞতা। অনেক আশীর্বাদ থাকলেই বোধহয় এই সুযোগ পাওয়া যায়।'
অন্যান্য স্যাটেলাইট চ্যানেলে যখন দুর্গা হিসেবে দেখা যাবে জনপ্রিয় নায়িকাদের.. সেই যুদ্ধে এবার পায়েলের হাতেখড়ি। কী হবে তাঁর ইউএসপি? নৃত্যশিল্পী বলছেন, 'সবাই সবার মতো করে মহিষাসুরমর্দিনীতে অভিনয় করেন। তাঁরা আমার থেকে অনের দক্ষ। অনেক বছর ধরে অভিনয় করছেন। আমি হয়তো তাঁদের কাছে কিছুই নয়। তাই প্রতিযোগিতা হিসেবে ভাবছিই না জিনিসটা। নিজের প্রাণ ঢেলে অভিনয় করেছি। সুযোগ এসেছিল তাই করতে পেরেছি। দর্শকদের ভাল লাগলেই আমাদের পরিশ্রম সার্থক।'
বর্তমানে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা কলকাতায় অস্থির পরিস্থিতি। প্রতিবাদে পথে নেমেছে গোটা শহর। নিজেদের নাচের দল নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন পায়েল, দ্বৈপায়নও। কিন্তু তার মধ্যেই দরজায় কড়া নাড়ছে পুজো। এই বছর পুজোর কী পরিকল্পনা রয়েছে পায়েল দ্বৈপায়নের? নৃত্যশিল্পী বলছেন, 'বিয়ের পরে এই পুজোটা আমরা প্রথম একসঙ্গে কাটাব। কাজেই অনেক দিন থেকে, অনেক পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি.. আর কিছুই ভাল লাগছে না। আমরা নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ করেছি। রাস্তায় নেমেছি। এখনও প্রতিবাদ করছি। এবার পুজোয় কোনও পরিকল্পনা নেই.. একটাই প্রার্থনা, 'মেয়েটা বিচার পাক'।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।