কলকাতা: নববর্ষ আসে, তারপর পায়ে পায়ে আসে ২৫শে বৈশাখও। নতুন বছরের প্রথমদিনেও তাই চলত বাংলা গান, নাটকের মহড়া। ছোটবেলার নতুন বছর বলতে সেই স্মৃতিই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে আবীর চট্টোপাধ্যায়ের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে নববর্ষের উদযাপন। এখন নতুন জামা পাওয়ার অপেক্ষার থেকে নতুন জামা দেওয়ার আনন্দটাই বেশি। নতুন বছরের আগে ছোটবেলার নববর্ষের স্মৃতি নিয়ে এবিপি লাইভের মুখোমুখি আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)।


আবীর চট্টোপাধ্যায়ের নববর্ষ


সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে নববর্ষ, কেমন ছিল আবীর চট্টোপাধ্যায়ের ছোটবেলার নববর্ষগুলো? এবিপি লাইভকে আবীর বলছেন, 'নববর্ষ বলতেই মনে পড়ে বাংলা গান, বাংলা নাটক। সামনেই ২৫ শে বৈশাখ আসছে। তার একটা মহড়া চলত। ছোটবেলার নববর্ষের স্মৃতি বলতে এইগুলোই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে।'


শুধু কী তাই? আবীর বলে চললেন, 'নববর্ষে হালখাতা করার একটা চল ছিল। শুভ দিনে খাতা খোলা হত। দোকানে দোকানে নেমন্তন্ন থাকত। ওই একটা দিন ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার ছাড় ছিল আমাদের। সেটা খুব লোভনীয় বলে মনে হত।'


আরও পড়ুন: Poila Baisakh Interview: 'রসনার লোভে হালখাতা, দুপুরের মেনুতে পাঁঠার মাংস'


আর এখনকার নববর্ষ? আবির বলছেন, 'এখনকার নববর্ষ কাটে কাজের মধ্যে দিতে। আজই শ্যুট শেষ করে ফিরেছি, আবার আগামীকাল শ্যুটিং রয়েছে। নতুন বছর উদযাপনে এটুকুই অন্তরায়। আরও একটা বড় পরিবর্তন এসেছে। সেটা হল আগে উপহার পেতে বেশি ভালো লাগত। এখন যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি, সেখানে উপহার দিতে বেশি ভালো লাগে। বাড়ির ছোটদের আর বড়দের উপহার দেওয়ার চল রয়েছে। আমি অবশ্য কেনাকাটায় যোগ দিতে পারি না। সেই দায়িত্ব সবটাই পালন করেন আমার গৃহিণী নন্দিনী।


সামনেই আবীর চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ব্যোমকেশ ছবির শ্যুটিং শুরু। অরিন্দম শীলের পরিচালনায় তৈরি হবে এই নতুন এই ব্যোমকেশ। অন্যদিকে ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় পুরুলিয়ায় গুপ্তধন সিরিজের নতুন ছবি 'দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন' কাজ করছেন তিনি।