মুম্বই: যেকোনও দম্পতির জীবনে বিবাহবার্ষিকী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। কতগুলো বছর তাঁরা একে অপরের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কাটিয়ে ফেললেন তার হিসেব কষতে থাকেন। একে অপরের এমন অনেক অভ্যাস সম্পর্কে তাঁরা বিয়ের পর জানতে পারেন, যা তাঁরা আগে জানতেন না। আজ বিবাহবার্ষিকী বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি রণবীর সিংহ (Ranveer Singh) এবং দীপিকা পাড়ুকোনের (Deepika Padukone)। বেশ কিছুদিন সম্পর্কে থাকার পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর একে অপরের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্যই প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। আজ তাঁদের বিবাহবার্ষিকীতে জেনে নেওয়া যাক বলিউডের জনপ্রিয় দম্পতির অজানা কিছু অভ্যাসের কথা।
একটি সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাড়ুকোন ফাঁস করেছিলেন যে, তিনি সারাক্ষণই বাড়িতে কিছু না কিছু করতে থাকেন। এক জায়গায় কখনও স্থির হয়ে বসতে পারেন না। রণবীর অনেক সময়ই তাঁকে বলেন, সবসময় কিছু না কিছু করার কী দরকার? কিন্তু তিনি কিছুতেই স্থির হয়ে এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেন না। আর দীপিকা পাড়ুকোনের এমন স্বভাবের কথা পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অভিযোগ করেছিলেন রণবীর সিংহ। এমনই জানাচ্ছেন দীপিকা।
আরও পড়ুন - ঋষি কপূর সম্পর্কে এ কী বললেন এ.আর রহমান!
রণবীর সিংহের অজানা আরও অভ্যাস সাক্ষাৎকারে ফাঁস করেন দীপিকা। বলেন, 'কোনও শট দেওয়ার আগে রণবীর বেশ কিছু জিনিস মেনে চলে। যেমন শট দেওয়ার আগে, চোখে ড্রপ দেবে। তারপর পারফিউম ব্যবহার করবে। তারপর মাউথওয়াশ ব্যবহার করবে বা কোনও মজার কোনও কিছু করবে। অর্থাৎ, একটা শট দেওয়ার আদে এগুলো রণবীর করবেই।'
লকডাউন চলাকালীন একটি সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাড়ুকোন বলছিলেন, 'লকডাউনের সময় রণবীরই সবথেকে সেরা মানুষটা যাঁর সঙ্গে ওরকম পরিস্থিতিতেও আমি খুব ভালো কাটিয়েছি। লকডাউনের সময় ও ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ঘুমোত। সেই সময়টা আমি নিজের মতো কাটাতাম। আর তাই আমি ওকে অতক্ষণ ঘুমোতেও দিতাম। যে চার ঘণ্টা ও জেগে থাকত, হয় সিনেমা দেখত, নাহলে খাবার খেত নাহলে শরীরচর্চা করত। ওই সময়টা আমি ওর সঙ্গে দারুণ উপভোগ করেছি।'
এবার দীপিকা পাড়ুকোনের অজানা অভ্যাস সম্পর্কে রণবীর সিংহ একটি সাক্ষাৎকারে জানাচ্ছেন, 'বাড়িতে অনেক দেরি করে ফেরার অভ্যাস রয়েছে দীপিকার। না খেয়ে বাড়ি থেকে বেরনোর অভ্যাস রয়েছে। এবং আমার ফোন কল না ধরারও বদঅভ্যাস আছে।'
সবকিছুতেই নাকি অনেক সময় নেন রণবীর সিংহ. এমনটাই অভিযোগ দীপিকা পাড়ুকোনের। বলছিলেন, 'রণবীর স্নান করতে অনেক সময় নেয়। মানে অনেক অনেক সময় নেয়। কোথাও যাওয়ার সময় তৈরি হতে অনেক সময় নেয়। আবার বিছানা ছেড়ে উঠতেও অনেক সময় নেয়।