Gold Smuggling Case: সোনা পাচার কাণ্ডে আগের মাসেই বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে কন্নড় অভিনেত্রী রন্যা রাওকে (Ranya Rao) গ্রেফতার করে পুলিশ। সম্প্রতি জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন অভিনেত্রী, কিন্তু সেই আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে স্পেশাল কোর্ট। আরেক অভিযুক্ত তরুণ রাজুকেও আটক করা হয়েছিল একইসঙ্গে, তাঁকে ১৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রন্যাকে জেরা করার সময় তিনি জানান যে এই কাজ (Gold Smuggling Case) তিনি প্রথমবার করছেন এবং কিছু কিছু কৌশল তিনি ইউটিউব দেখে শিখেছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে তার কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসত, ইউটিউব ভিডিয়ো দেখে কীভাবে সোনা লুকিয়ে আনতে হয় তা শিখেছিলেন তিনি।
কন্নড় অভিনেত্রী রন্যা জানান, 'সোনা রাখা ছিল দুটি প্লাস্টিকের কভার দেওয়া প্যাকেটের মধ্যে। বিমানবন্দরের বিশ্রামকক্ষে গিয়ে শরীরের সঙ্গে টেপ দিয়ে আমি সোনার বারগুলি সেঁটে নিয়েছিলাম। আমার জিন্স এবং জুতোর মধ্যে লুকোন ছিল সোনার বার। কীভাবে এটা করতে হয় তা আমি ইউটিউব দেখে শিখেছিলাম। এটাই প্রথমবার আমি সোনা পাচার করছিলাম দুবাই থেকে বেঙ্গালুরুতে, এর আগে আমি কখনও দুবাই থেকে সোনা কিনিনি বা আনিনি।'
রন্যা রাও ডিআরআই আধিকারিকদের বলেন যে তার কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসত, একটি বিদেশি নম্বর, সেই ফোনেই ওপাশের ব্যক্তি তাঁকে দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচারের সমস্ত নির্দেশ দিতেন। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম ১ মার্চ তারিখে একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পাই। বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই অচেনা বিদেশি নম্বর থেকে আমার কাছে ফোন আসছে। আমাকে বলা হয়েছিল দুবাই বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর গেট এ-তে যেতে। আমাকে বলা হয়েছিল দুবাই থেকে সেই সোনা নিয়ে বেঙ্গালুরুতে ডেলিভারি করে দিতে'।
কে তাঁকে ফোন করতেন তা তিনি জানেন না। সেই ব্যক্তির গলার স্বরে আফ্রিকান-আমেরিকান কথনভঙ্গি নজর করেছিলেন তিনি। নিরাপত্তারক্ষীদের পেরিয়ে যেতেই এক ব্যক্তি আমার হাতে সোনার বার তুলে দিতেন। তারপর দ্রুত চলে যেতেন। তার উচ্চতা কম করে ৬ ফুট এবং ফর্সা চেহারা, জানান রন্যা রাও।গতকাল থেকে এই সোনা পাচার কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
আরও পড়ুন: Gujarat News: বিবাহিত মহিলার সঙ্গে প্রেম ! দলিত যুবককে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটাল গ্রামবাসী