কলকাতা: তিনি বছরের পর বছর ধরে রয়েছেন সলমন খানের (Salman Khan)-এর সঙ্গে। সলমনের ছায়াসঙ্গী হয়ে। তবে বলিউডের 'ভাইজান' -কে রক্ষা করা কী এতই সহজ? কী কী পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় তাঁকে? সলমনের সঙ্গে কেমন স্বভাব তাঁর নিরাপত্তারক্ষী শেরার? সদ্য ANI -কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শেরা জানিয়েছেন, 'ভাইজান'-কে রক্ষা করার অদ্ভূত সব গল্প। তিনি নাকি সলমন খানকে ডাকেন 'মালিক' বলে। শেরার কথায়, 'সলমন সবদিক থেকেই মালিক। যে কোনও রকম সমস্যা হোক, সবসময় নাকি সবার আগে সাহায্যের হাতটা বাড়িয়ে দেন সলমনই। সবরকম সাহায্যের সমাধান করতেই এগিয়ে আসেন তিনি। 


শেরা জানিয়েছেন, সলমন খানের বডিগার্ড হওয়ার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট। সমস্ত মানুষেরাই সলমন খানের কাছে আসছে চান। আট থেকে আশি, বয়সের কোনও সীমা নেই সলমনের অনুরাগীদের। প্রত্যেকেই তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে চান, কাছে এসে কথা বলতে চান, নাচ করতে চান। সেই কারণেই তাঁদের সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে সলমনের বডিগার্ডের ক্ষেত্রে। তবে যখন প্রথম প্রথম শেরা কাজে যোগদান করেছিলেন, সেই সময়ে প্রাণের ভয় ছিল না শেরার। এমনই সাধারণ লোকজনকে সামলাতে হত। তবে বর্তমানে সিকিওরিটি বেড়েছে সলমন খানের। সেই কারণে এখন সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেই কাজ করতে হয় শেরাকে। শেরা জানাচ্ছেন, সবাই একটা টিম হিসেবে কাজ করে।


শেরা আরও জানাচ্ছেন, বিদেশে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করা অনেক সহজ। কারণে সেখানে মানুষ তারকাদের কেবল দূর থেকে দেখতে পান। তাঁদের কাছে এসে তাঁদের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করতে পারেন না। কথাও বলতে পারেন না। সবকিছুর জন্যই অনুমতি দরকার। তবে ভারতীয়দের মধ্যে সেই প্রবণতা নেই। সবাই কাছে আসতে চান, ছবি তুলতে চান। কথা বলতে চান। সেই কারণেই শেরার মতে ভারতে নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ করা অনেক কঠিন। শেরা জানিয়েছেন সবসময়ে খেয়াল রাখতে হয় এটাও যাতে সাধারণ মানুষ কোনও অসুবিধার মধ্যে না পড়েন। কারণ সাধারণ মানুষদের ক্ষতি হয়ে গেলেই উল্টো বিপদ, দাবি শেরার।


আরও পড়ুন: Ranjit Mallick-Koel: মল্লিক বাড়ির পুজো দেখতে যেতে পারেননি? দেখে নিন রঞ্জিত মল্লিক-কোয়েলের দুর্গোৎসবের অ্যালবাম


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।