মুম্বই: 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story) নির্মাতাদের তরফে করা হল বিশেষ ঘোষণা। 'ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া'র (Film and Television Institute of India) ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনীর (special screening) ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen) পরিচালিত এই ছবি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এল এই খবর।


FTII-এ 'দ্য কেরালা স্টোরি'র স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন


সুদীপ্ত সেন পরিচালিত, বিপুল শাহ প্রযোজিত 'দ্য কেরালা স্টোরি' নিয়ে বিতর্কের ঝড় শুরু থেকেই। এই ছবির মূল বিষয়বস্তু কীভাবে কেরলের একদল হিন্দু ধর্মাবলম্বী মহিলাকে বলপূর্বক ইসলাম ধর্মে পরিবর্তিত করে সন্ত্রাসবাদী সংস্থা 'আই এস'-এ যোগ দেওয়ায়। 


এক বিবৃতিতে বিপুল শাহ লেখেন, 'আমাদের নিজেদের লোকেদের সঙ্গে দেখা করে আমরা খুবই উত্তেজিত। এই হল ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যত যা এফটিআইআই-তে প্রস্তুত হচ্ছে। তাঁরা 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে কীভাবে দেখছেন এবং তাঁরা এই ছবি সম্পর্কে কী ভাবছেন তা দেখা খুব আকর্ষণীয় এবং উত্তেজনাপূর্ণ হবে। তাঁরা কী বুঝেছেন, তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি, যা ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি। বেশ মজার হবে ব্যাপারটা।' দেশের রাজনৈতিক আলোচনায় মেরুকরণের সৃষ্টি করা এই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ৫ মে।


ছবি মুক্তির তিন দিন পর, অর্থাৎ ৮ মে 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, ছবির 'বিকৃত তথ্য' অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। ৭ মে থেকে তামিলনাড়ুর প্রেক্ষাগৃহ এই ছবি দেখানো বন্ধ করে দেয় অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায়। 


আরও পড়ুন: Swimming: সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ছবির নির্মাতারা। সর্বোচ্চ আদালত যখন রায় দেয় তাঁর ছবির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ার, মুম্বইয়ে বসে কার্যত লাফিয়ে উঠেছিলেন বাংলার ছেলে। আর তারপরেই, টিকিট কেটে তড়িঘড়ি তিনি ছুটে আসেন বাংলায়। সঙ্গে আসেন, ছবির নায়িকা আদাহ্ শর্মাও। কিন্তু বাংলায় এসে যারপরনাই হতাশ হতে হল পরিচালককে।  গতকাল, অর্থাৎ শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে, কোনও রাখঢাক না রেখেই, হতাশার কথা, মনখারাপের কথা শোনা গেল পরিচালকের গলায়। সাংবাদিক সম্মেলনের প্রথমেই তিনি বলেন, 'আমি বা আদাহ্ কেউই রাজনীতিবিদ নই। আমরা রাজনীতি জানি না। রাজনীতির কথা বলতে গেলে হয়তো আমাদের কিছু ভুল হয়ে যাবে, সেটা আমরা করতে চাই না।' তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আলাদা করা যায় না 'দ্য কেরালা স্টোরি' আর রাজনীতিকে। অন্যদিকে, হতাশার কথা লুকোতে পারলেন না পরিচালকও। সুদীপ্ত বলছেন, 'আমি বাঙালি, এই ছবির মিউজিক ডিরেক্টর বাঙালি, প্রোজাকশন ডিজাইনার বাঙালি.... এত গর্বিত হয়েছিলাম আমরা, যে সঙ্গে সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিই, কলকাতায় এসে উদযাপন করব। ঘুরে দেখব প্রেক্ষাগৃহ। কিন্তু কলকাতায় এসে যারপরনাই হতাশ হলাম। নিষেধ উঠিয়ে নেওয়ার পরেও কলকাতার কোনও প্রেক্ষাগৃহেই কেরালা স্টোরি চলছে না।