অতসী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: প্রয়াত তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar Demise)। বিশিষ্ট পরিচালককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এনটিওয়ান স্টুডিওতে (NT1 Studio) হাজির হয়েছেন টলিপাড়ার তাবড় তারকারা। যে স্টুডিওতে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন পরিচালক। সেই এনটিওয়ান স্টুডিওতেই এবিপি আনন্দের ক্যামেরার সামনে প্রতিক্রিয়া মিলল অভিনেত্রী দোলন রায়ের (Dolon Roy)।


স্মতিচারণায় অভিনেত্রী দোলন রায়


দোলন রায় প্রথম ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের হাত ধরে। সেই সব দিনের কথা স্মরণ করে অভিনেত্রী বলেন, 'আমাকে প্রথম 'ঘটক বিদায়' নাটক দেখে পান্তু বাবু,ওঁর ক্যামেরাম্যান ছিলেন, এনটিওয়ান স্টুডিওতে ডেকে পাঠান। আমার মাথায় একঢাল চুল নিয়ে যখন আসি, তরুণবাবু আমাকে দেখে বলেছিলেন, 'তোমার এই চুলগুলো কি সত্যি নাকি নকল?' আমি তখন আসল-নকল কিছুই বুঝি না তখন। মাথা নেড়ে বললাম হ্যাঁ সত্যিই তো।'


এরপর তরুণ মজুমদারের হাত ধরে দোলন রায়ের সিনেমায় প্রথম পথচলা শুরু, ছবির নাম, 'সজনী গো সজনী'। দোলন রায়ের কথায়, 'দুর্ভাগ্যবশত এই ছবিতে পুরোপুরি কাজ করতে পারিনি পরীক্ষার জন্য। খুব সুন্দর করে সেটাও উনি ম্যানেজ করে দিয়েছিলেন। এরপর ওঁর "অভিমানে অনুরাগে" বলে একটা ছবি সেকেন্ড লিডে অভিনয় করি। তাঁর প্রথম ধারাবাহিক "চিরকুমার সভা", সেখানেও একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করেছি। আমার জীবনের অসংখ্য অভিজ্ঞতা একেবারে মনের মণিকোঠায় থাকবে।'


আরও পড়ুন: Tarun Majumdar Death: 'আমার আপন মানুষ', তরুণ মজুমদারের মৃত্যুতে অঝোরে কাঁদছেন সন্ধ্যা রায়


দুপুর তিনটে নাগাদ এনটিওয়ান স্টুডিওয়ে প্রয়াত পরিচালকের মরদেহ এসে পৌঁছয়। পরিবারের মানুষের সঙ্গে এসেছেন টলিউডের একাধিক চেনা মুখ। মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৪ জুন থেকে ভর্তি হন এসএসকেএমে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। দেখা দিয়েছিল বার্ধক্যজনিত সমস্যাও। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আজ সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে জীবনাবসান হয় তরুণ মজুমদারের। এসএসকেএম থেকে টালিগঞ্জের এনটি ওয়ান স্টুডিওতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণ মজুমদারের মরদেহ। মরদেহ নিয়ে শোকমিছিল হবে না। দেহদান করা হবে এসএসকেএমে, কর্নিয়া দান করা হবে শঙ্কর নেত্রালয়ে, জানিয়েছে প্রয়াত পরিচালকের পরিবার।