কলকাতা: একসময় তাঁর নাম জড়িয়ে গিয়েছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুত (Sushant Singh Rajput)-এর মৃত্যুরহস্যের সঙ্গে। অভিনেতার মৃত্যুর কারণ এখনও রহস্যে মোড়া সবার কাছে। তবে রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty)-র বিরুদ্ধে রুজু হয়েছিল মামলা। শুধু তাই নয়, রিয়াকে বেশ কয়েকমাস সংশোধনগারেও থাকতে হয়েছিল মাদক রাখার অভিযোগে। তবে সেইসময়, অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ উঠেছিল, যা কার্যত ভিত্তিহীন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত আক্রমণ করা হয়েছিল তাঁকে। এবার একটি 'টক শো'-তে এসে পুরনো সময় নিয়ে, কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন রিয়া। 


একটি 'টক শো'-তে এসে সম্প্রতি নিজের অতীত নিয়ে মুখ খুললেন রিয়া। ৩১ বছরের এই অভিনেত্রী বলেন.. 'একসময় আমায় ডাইনি বলা হয়েছিল। আমার এই নামটা বেশ ভালোই লাগে। একটু যদি পিছন ফিরে দেখি, ভাবুন তো ডাইনি কাদের বলা হত? যে সমস্ত মহিলারা কারোও কাছে নতিস্বীকার করত না। নিজেদের শর্তে জীবনকে বাঁচতে ভালবাসে। হয়তো আমি তেমনই একটা মানুষ। আমি হয়তো ডাইনি। আমি হয়তো জানি কী করে কালো যাদু করতে হয়।'


অন্যদিকে, বেটিং অ্যাপ তদন্তে তলবে এবার নতুন নাম জুড়ল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (Enforcement Directorate) বা ইডি (ED) সদ্য তলব করল বলিউড অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কপূর (Shraddha Kapoor)। মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপ কেসে (Mahadev online betting app case) একের পর এক তলব করা হচ্ছে বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের। তালিকায় ইতিমধ্যেই রয়েছেন রণবীর কপূর (Ranbir Kapoor), কপিল শর্মা (Kapil Sharma), হুমা কুরেশি (Huma Qureshi) ও হিনা খানকেও (Hina Khan)। সেই তালিকায় নাম জুড়ল শ্রদ্ধারও। সূত্রের খবর, আজই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে শ্রদ্ধাকে।


আরও পড়ুন...


কোজাগরীর ঘুড়ি ওড়ানোর সখ, পাশে রইল তোতা, সূর্যকে নির্দোষ প্রমাণিত করবে দীপা? নজরে টেলি মশালা


এর পাশাপাশি, সেন্সর বোর্ডের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন তামিল অভিনেতা বিশাল। আর শোনা যাচ্ছে, এবার সেই ঘটনার তদন্তের ভার নিল সিবিআই। ইতিমধ্যেই নাকি সেন্সর বোর্ডের তিন জন অভিযুক্তসহ আর বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই অভিযোগপত্রে মার্লিন মানেগা, রাজন এম এবং জিজা রামদাস নামে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।


অভিনেতা বিশাল অভিযোগ তুলেছিলেন সেন্সর বোর্ডের বিরুদ্ধে।গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে বিশাল লিখেছিলেন, 'রুপোলি পর্দায় দুর্নীতির কথা শোনা যায়, কিন্তু বাস্তব জীবনে নয়। হজম হচ্ছে না। তাও যদি সেটা সরকারি অফিসে হয়, তাহলে তো আরোই মানতে পারি না। আর এমনই একটা দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে সেন্সর বোর্ডের মুম্বইয়ের অফিসে। আমার ছবি মার্ক অ্যান্টনি-র হিন্দি ভার্সনটির জন্য আমায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। দুই ভাগে আমায় এই টাকাটা দিতে হয়েছে। ৩ লাখ দিতে হয়েছে স্ক্রিনিংয়ের জন্য আর সাড়ে ৩ লাখ দিতে হয়েছে সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য। আমার কেরিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial